করোনায় ২৪ ঘন্টায় সিলেটে একজনের মৃত্যু, ২৫৮ জন শনাক্ত

6

স্টাফ রিপোর্টার :
সিলেট বিভাগে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় আরও একজনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে বিভাগে মৃতের সংখ্যা দাঁড়ালো ৪৬৮ জনে। একই সময়ে সিলেট বিভাগে করোনাভাইরাস শনাক্ত করা হয়েছে আরও ২৫৮ জনের শরীরে। এছাড়া এই ২৪ ঘণ্টায় সিলেটে হাসপাতালে ও বাড়ি চিকিৎসাধীন আরও ১১৪ জন রোগী সুস্থ হয়ে উঠেছেন।
গতকাল মঙ্গলবার সকালে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সিলেট বিভাগীয় পরিচালক (স্বাস্থ্য) ডা. সুলতানা রাজিয়া স্বাক্ষরিত কোভিড-১৯ কোয়ারেন্টিন ও আইসোলেশনের দৈনিক প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানানো হয়।
এতে বলা হয়, বিভাগে গত ২৪ ঘণ্টায় ২৫৮ জনের দেহে করোনাভাইরাসের অস্তিত্ব শনাক্ত হয়েছে। এদের নিয়ে সিলেট বিভাগে মোট করোনা প্রমাণিত রোগীর সংখ্যা দাঁড়ালো ২৫ হাজার ৫২০ জনে। যাদের মধ্যে সিলেট জেলায় ১৬ হাজার ৮৬৮ জন, সুনামগঞ্জে ২ হাজার ৯৬৮ জন, হবিগঞ্জ জেলায় ২ হাজার ৭১৩ জন ও মৌলভীবাজারে ২ হাজার ৯৭১ জন।
গত ২৪ ঘণ্টায় সিলেট বিভাগে শনাক্ত হওয়া ২৫৮ জন করোনা আক্রান্ত রোগীর ১৩৪ জনই সিলেট জেলার বাসিন্দা। এছাড়া বিভাগে সুনামগঞ্জ জেলার ১৬ জন, হবিগঞ্জের ৪৭ জন ও মৌলভীবাজার জেলার বাসিন্দা ৪৬ জন। এদিকে সিলেটের এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আরও ১৫ জন রোগীর করোনা শনাক্ত হয়েছে।
একইদিনে সিলেট বিভাগে নতুন করে আরও ১১৪ জন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগী সুস্থ হয়ে উঠেছেন। যাদের মধ্যে ৮৬ জন সিলেট জেলার বাসিন্দা। এছাড়া ৩ জন সুনামগঞ্জ জেলার ও ২৫ জন মৌলভীবাজার জেলার বাসিন্দা। এনিয়ে বিভাগে করোনা থেকে সুস্থ হওয়া রোগীর সংখ্যা ২৩ হাজার ৪৯৬ জন। যাদের মধ্যে সিলেট জেলায় ১৫ হাজার ৯৩৪ জন, সুনামগঞ্জে ২ হাজার ৮২০ জন, হবিগঞ্জ জেলায় ২ হাজার ১১০ জন ও মৌলভীবাজারে ২ হাজার ৬৩২ জন।
সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, সিলেট বিভাগে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণ করেছেন একজন রোগী। যিনি সিলেট জেলার বাসিন্দা। এনিয়ে বিভাগে মৃত্যুবরণ করা মোট রোগীর সংখ্যা ৪৬৮ জন। এর মধ্যে সিলেট জেলার ৩৮২ জন, সুনামগঞ্জে ৩২ জন, হবিগঞ্জে ১৯ জন এবং মৌলভীবাজারের ৩৫ জন।
এদিকে সিলেটের ৪ জেলা মিলে ২৬৪ জন করোনা আক্রান্ত রোগী হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন। যাদের ২৫১ জনই সিলেট জেলার বিভিন্ন হাসপাতালে, সুনামগঞ্জে ৭ জন, হবিগঞ্জে ২ জন ও মৌলভীবাজারে ৪ জন চিকিৎসা নিচ্ছেন। এছাড়া গত ২৪ ঘণ্টায় সিলেট বিভাগে ১০১ জনকে নতুন করে কোয়ারেন্টিনে পাঠানো হয়েছে।