বঙ্গবন্ধু আপন মহিমায়

15

জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিভিন্ন তাৎপর্যে দেশ ও বিশ্বসভায় তাঁর যোগ্য আসনটি অর্জন করেছেন। ১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলন বিশ্ব সভায় আজ অনন্য মর্যাদায় অভিষিক্ত। আর বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের শৈল্পিক কথামালার সংগ্রাম ও মুক্তির যাত্রাপথের অনন্য শৌর্যে ইউনেস্কোর কাছে বিশ্ব ঐতিহ্যে সমাদৃত। নতুন আর এক সম্ভারে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতি শস্যচিত্রের মর্যাদায় বিশ্ব দরবারে পৌঁছানোর অপেক্ষায়। ধন ধান্য পুষ্প ভরা, নদীমাতৃক সম্ভাবনাময় কৃষি অর্থনীতির অভাবনীয় যোগসাজশে বাংলাদেশ আপন মর্যাদায় উদ্ভাসিত। আর সেই অবিস্মরণীয় কর্মযোগের অংশীদারিত্ব পাচ্ছে জাতির জনকের ঐতিহাসিক প্রতিকৃতি। আর তাই শস্যসম্ভারে আকর্ষণীয় সৃজন বোধের অনন্যতায় বঙ্গবন্ধুর মুখাবয়বকে শস্যের আভরণে তৈরি করে বিশ্বসভায় নিয়ে যাওয়া আর এক সুমহান কীর্তি। বিশ্ববাসীকে তাক লাগিয়ে দেয়ার অপেক্ষায় এই নান্দনিক সৃজন চিত্র।
বাংলাদেশের বগুড়ার শেরপুরের বালেন্দা গ্রামে ১২০ বিঘা জমির ওপর অঙ্কিত জাতির পিতার ছবি তার মহান প্রস্তুতি পর্বের শেষ লগ্নে। শস্যভূমিতে বঙ্গবন্ধুর যে পোর্ট্রটে তার অসাধারণ ব্যক্তি শৌর্যের অনমনীয় চেতনায় আঁকা হয়েছে সেখানে বজ্রকণ্ঠের স্বাধীনতার ভাষণও সবাইকে গর্বিত করবে। এ জীবন্ত চিত্র স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীর বিরল উপহার। স্বাধীনতার ৫০ বছর পূর্তি ছাড়াও বঙ্গবন্ধুর জন্ম শতবর্ষের মাহেন্দ্রক্ষণে ফসলের মাঠে শস্য বুনে জাতির জনকের ছবি উদ্ভাসিত করা তাও যেন সুজলা, সুফলা শস্য শ্যামলা বাংলার চিরায়ত ঐতিহ্য। যা সুমহান বিশ্বনেতাকেই যেন গিনেজ বুকে অন্তর্ভুক্ত করারই এক মহান ও বিশাল কর্মসাধনা। এটিও গুরুত্বপূর্ণ, জাতির জনককে বাংলার পলিমাটির বুকে শস্যের রঙ-তুলিতে সাজিয়ে তার চিরস্থায়ী সম্মানকে সবার কাছে পৌঁছে দেয়া। সঙ্গত কারণে স্বাধীনতা অর্জনের যথার্থ সময়ে উদাত্ত কণ্ঠে বঙ্গবন্ধু আহ্বান করেছিলেন দেশে সবুজ বিপ্লবের। গ্রাম বাংলার সার্বিক উন্নয়নে বগুড়ার শেরপুরে প্রতিষ্ঠা করেন পল্লী-উন্নয়ন একাডেমি। যা বাংলার পিছিয়ে পড়া কৃষকদের নবোদ্যমে সম্ভাবনায় ভবিষ্যত গড়ার মন্ত্রে উজ্জীবিত করেছিল। স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীতে শস্যচিত্রের শেষ পর্যায়ে এসে এমন সব স্মৃতিও সবাইকে আবেগে আপ্লুত করে দেয়।
বিশালাকার এই শস্য আবৃত বঙ্গবন্ধুর মহান প্রতিকৃতি গিনেস বুক ওয়ার্ল্ডে সম্মানিত হওয়ার অপেক্ষায়।
বঙ্গবন্ধুর প্রতি বাংলাদেশের মানুষের যে অবিমিশ্র শ্রদ্ধা ও ভালবাসা শস্যচিত্রের নতুন এই বিশাল কর্মযজ্ঞ তারই অনন্য উপহার। গ্রামের কয়েকজন কৃষক প্রতি বিঘা ফসলি জমি ছয় মাসের জন্য ৯ হাজার টাকায় লিজ দেন কর্তৃপক্ষকে। কৃষকরা এ নিয়ে গর্বিত ও আনন্দিত। শস্যচিত্র রোপণের জন্য বেগুনী ও সবুজ রঙের বিশেষ ধানের চারা নির্মাণকারীদের বিবেচনায় আনতে হয়। এই অসাধারণ শস্যচিত্রটি সার্বক্ষণিক তদারকি ও নজরদারিতে আছে বাস্তবায়নকারী প্রতিষ্ঠান ন্যাশনাল এগ্রিকেয়ার কোম্পানি। ঐতিহাসিক এই শিল্প ও সৃজন দ্যোতনা বিশ্ব সভায় নতুন করে বঙ্গবন্ধুকে আপন মহিমায় তুলে ধরবে। তেমন প্রত্যাশায় দেশের মানুষ।