জৈন্তাপুরে উদ্ধারকৃত ১ হাজার বস্তা মটরশুটি ১০ লক্ষ টাকায় নিলাম

10

জৈন্তাপুর থেকে সংবাদদাতা :
জৈন্তাপুর উপজেলা সদরে অভিযান করে ১ হাজার বস্তা মটরশুটি জব্দ এবং ১০ লক্ষ টাকায় নিলামে বিক্রি হয়েছে।
গত ৬ ফেব্রুয়ারি দিবাগত রাত ১০ টায় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জৈন্তাপুর উপজেলা প্রশাসন, মডেল থানা পুলিশ ও এনএসআই যৌথ টিম উপজেলার লামাপাড়া এলাকা হতে ভারতে পাচারের উদ্দেশ্যে মজুদকৃত মটরশুটি গোদামে অভিযান পরিচালনা করে।
এ সময় ১ হাজার বস্তা মটরশুটি জব্দ করে যৌথ বাহিনীর সদস্যরা৷ পরে যৌথ বাহিনীর সদস্যরা জব্দকৃত মটরশুটি নিলামের মাধ্যমে ১০ লক্ষ টাকায় বিক্রয় করা হয়৷ এছাড়া কৃত্রিম ভাবে বাজার সংকট তৈরী করে পাচারের লক্ষ্যে মজুদ করার দায়ে ঘটনায় জড়িত একজনকে কৃষি বিপনন আইন ২০১৮ এর ১৯ ধারায় অনুযায়ী মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করে ১ লক্ষ টাকা জরিমানা করা হয় এবং জরিমানার টাকা নগদে আদায় করা হয়।
অভিযানে নেতৃত্ব দেন সহকারী কমিশনার ভূমি ফারুক হোসেন, জৈন্তাপুর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ মহসিন আলী, অফিসার ইনচার্জ তদন্ত ওমর ফারুক এবং এনএসআই সহকারী পরিচালক ইমরান হাসান।
এদিকে অভিযানকে স্বাগত জানায় সচেতন মহল৷ নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক অনেকে বলেন, সন্ধ্যায়, এশার আযান এবং রাত্র ১২টায় উপজেলার বিভিন্ন সীমান্ত পথ দিয়ে ভারত হতে বাংলাদেশে ভারতীয় গরু-মহিষ সহ ভারতীয় বিভিন্ন ব্যান্ডের মাদক সামগ্রী, কসমেট্রিক্স সামগ্রী, হরলিক্স, বিভিন্ন ব্যান্ডের সিগারেট বাংলাদেশে প্রবেশ করছে।
এগুলোর প্রতি নজরধারী সহ যৌথ অভিযান পরিচালনা করার দাবী জানান৷ এছাড়া উপজেলার গোয়াবাড়ী এবং আলু বাগান হতে পাহাড় টিলা কর্তন করে প্রশাসনের নাম ভাঙ্গিয়ে চাঁদা আদায় করছে একটি চক্র সে দিকে নজর দিতে অনুরোধ করেন।
তারা আরও বলেন জৈন্তাপুর উপজেলার সীমান্ত গুলোর মধ্যে অন্যতম চোরাচালান রুট হিসাবে রয়েছে ১২৮৬ হতে ১২৯৪ এবং ১৩০০ হতে ১০০৭ নং আন্তর্জাতিক পিলার এলাকার রোড় গুলো৷ অপর দিকে ১২৮৮ হতে ১২৮৩ আন্তর্জাতিক পিলার এলাকা।
এসব এলাকা দিয়ে বাংলাদেশ হতে ভারতে পাচার হচ্ছে মটরশুটি, প্লাষ্টিক সামগ্রী, সুপারী বিপরীতে ভারত হতে বাংলাদেশে প্রবেশ করছে গরু মহিষ, মদ মাদক সামগ্রী, বিভিন্ন ব্যান্ডের সিগারেট ও কসমেট্রিক্স সামগ্রী৷ এনিয়ে সংশ্লিষ্ট বাহিনীর যোগ সূত্র রয়েছে বলে দাবী করেন তারা৷
এ বিষয়ে জানতে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট বলেন চোরাচালান প্রতিরোধে প্রশাসনের এ ধরনের যৌথ অভিযান অব্যাহত থাকবে। অন্যান্য বিষয় গুলো আইনের আওতায় নিয়ে আসা হবে বলে জানান৷ এছাড়া সচেতন মহলকে তথ্য দিয়ে সহযোগিতার আহবান জানান।