আজ আইন শৃংখলা বাহিনীর সঙ্গে বৈঠকে সিদ্ধান্ত ॥ রেড জোনে থাকা নগরীর ওয়ার্ডগুলো কালই লকডাউন তবে সিটি কর্পোরেশন চায় শনিবার

44

স্টাফ রিপোর্টার :
সিলেটে ফের লতডাইন হতে যাচ্ছে। কাল বৃহস্পতিবার সিলেট জেলার বিভিন্ন এলাকা ও মহানগর এলাকার রেড জোনের প্রস্তাব করা ১৯টি ওয়ার্ডে লকডাউন কার্যকর হবে। একইসঙ্গে ইয়েলো জোন ও গ্রিন জোনে চলাচলের নির্দেশনাও দেওয়া হবে। আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী সে অনুযায়ী কাজ করবে। গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে সিলেট সার্কিট হাউসে জেলা প্রশাসক এম কাজী এমদাদুল ইসলামের নেতৃত্বে স্বাস্থ্যবিভাগসহ বিভিন্ন দপ্তরের লোকজন রেড জোন লকডাউনের বিষয়ক করণীয় শীর্ষক আলোচনা হয়েছে। আজ বুধবার এই নিয়ে জেলা প্রশাসন ও আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সভা অনুষ্ঠিত হবার কথাও রয়েছে।
জেলা প্রশাসক এম কাজি এমদাদুল ইসলাম বলেন, বুধবার আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে বৈঠক থেকে লকডাউনের বিষয়ে সিদ্ধান্ত হবে। ফলে এই দিন বিকেল অথবা পরদিন বৃহস্পতিবার থেকে রেড জোন লকডাউন করা হতে পারে। অবশ্য সিভিল সার্জন এ লকডাউনের ঘোষণা দেবেন।
সিলেটের সিভিল সার্জন ডা. প্রেমানন্দ মণ্ডল বলেন, যাদেরকে দিয়ে লকডাউন কার্যকর করা হবে, সেই আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে আজ বুধবার বৈঠকে বসবেন জেলা প্রশাসক। এরপর কাল ১৮ জুন বৃহস্পতিবার থেকে রেড জোন চিহ্নিত বিভিন্ন এলাকা লকডাউন কার্যকর হবে। তিনি বলেন, নগরীর ভেতরে যেহেতু রোগী বেশি তাই নগরীর বেশিরভাগ এলাকায়ই রেডজোন হিসেবে চিহ্নিত করে লকডাউন ঘোষণা করা হবে। তাছাড়া সব উপজেলা নয়, কোথাও ইউনিয়নে একটি বা দুটি বাড়ি তথা বেশি আক্রান্তের সংখ্যা চিহ্নিত করে এলাকা লকডাউন কার্যকর হবে। যে কারণে কতটি উপজেলা, ইউনিয়ন বা ওয়ার্ড লকডাউন করা হবে, তার পুরোপুরি হিসাব এখনই দেওয়া যাচ্ছে না। গতকাল রাতে এ বিষয়ে সর্বশেষ অবস্থা জানতে আবার সিলেটের সিভিল সার্জন ডা. প্রেমানন্দ মন্ডলের সাথে ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি ফোন রিসিভ করেননি।
এদিকে নগরীতে আগামী বৃহস্পতিবারের বদলে শনিবার থেকে লকডাউনের প্রস্তাব দিয়েছে সিলেট সিটি কর্পোরেশন। মঙ্গলবার রাতে সিলেট সিটি করপোরেশনে অনুষ্ঠিত এক বৈঠকে এ প্রস্তাব দেয়া হয়।
বৈঠকে বেশ কয়েকজন কাউন্সিলর প্রস্তাব করেন, বৃহস্পতিবারের বদলে শনিবার থেকে নগরীতে লকডাউন শুরু করার।
সিলেট সিটি কর্পোরেশনের প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. জাহিদুল ইসলাম বলেন, এক দিনের মধ্যে লকডাউন না দেয়ার পক্ষে কাউন্সিলররা মতামত দিয়েছেন। কারণ হিসেবে তিনি উল্লেখ করেন, এবারের লক ডাউন খুবই শক্ত হবে। মানুষকে ২ দিন দিন সময় দিলে সহজে প্রয়োজনীয় বাজার করতে পারবে। হঠাৎ সবকিছু বন্ধ হলে কিছু অসাধু ব্যবসায়ী জিনিসপত্রের দাম বাড়াতে পারে। এছাড়া তিনি বলেন, দুই দিন সময় দেয়া হলে সিটি কর্পোরেশন থেকে মাইকিং করে মানুষকে লকডাউন সম্পর্কে জানিয়ে দেয়া যাবে। শুক্রবার মসজিদের ইমামরাও লকডাউনের বিষয়ে মানুষকে সহজে জানাতে পারবেন।
তিনি জানান, বুধবার ঢাকায় সিটি করপোরেশনের পক্ষ থেকে প্রস্তাবনার চিঠি পাঠানো হবে।
সভায় উপস্থিত ছিলেন সিটি সিটি করপোরেশনের মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী, সিলেটের সিভিল সার্জন ডা. প্রেমানন্দ মণ্ডল, কাউন্সিলর শান্তনু দত্ত সনতু, রেজাউল হাসান কয়েস লোদী, আজাদুর রহমান আজাদ, ফরহাদ চৌধুরী শামীম, রেজওয়ান আহমদ, এডভোকেট ছালেহ আহমদ সেলিম, ইলিয়াছুর রহমান, আফতাব হোসেন খান, মো. সিকন্দর আলী, রাশেদ আহমদ, এবিএম জিল্লুর রহমান, ছয়ফুল আমিন বাকের, মোহাম্মদ তৌফিক বকস, এস এম শওকত আমিন তৌহিদ, তারেক উদ্দিন তাজ, সৈয়দ তৌফিকুল হাদী, একেএ লায়েক, মোস্তাক আহমদ, শাহানারা বেগম, রেবেকা আক্তার লাকী, এডভোকেট কুলসুমা বেগম পপি।