ইন্টারনেট আসক্তি

20

আমাদের দেশে শিশু-কিশোরদের মধ্যে ইন্টারনেট আসক্তি দিন-দিন এমন ভাবে বৃদ্ধি পাচ্ছে, এ অবস্থা চলতে থাকলে প্রত্যেকের সন্তানরা বিপথগামী হওয়ার সম্ভাবনা উড়িয়ে দেয়া যায় না। তাই প্রত্যেক পরিবারের উচিত সন্তানদেরকে ইন্টারনেট ব্যবহারে সর্তক থাকা উচিত।
বর্তমানে ইন্টানেটের ব্যবহার অত্যাধিক ভাবে বৃদ্ধি পাওয়ায় প্রতিটি পরিবারের শিশু-কিশোর থেকে শুরু করে যুবক-যুবতি, বৃদ্ধ-বৃদ্ধা, এমনকি হাটে-ঘাটে সর্বত্র এন্ড্রোয়েড মোবাইলের মাধ্যমে ইন্টানেট ব্যবহার করার দেখার সুযোগ থাকায় সবাই একই ভাবে ইন্টারনেটের মাধ্যমে নানা ধরনের বিভ্রান্তমূলক দৃশ্য অবলোকন করতে গিয়ে অনেক দুর্ঘটনার সম্মুখীন হতে হয়েছে।
বর্তমানে মহামারি করোনার কারণে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় প্রতিটি শিশু-কিশোর ও কিশোরি মোবাইল সেটে ইন্টানেট দেখতে অব্যস্ত হয়ে পড়েছে। আবার অনেকে সামাজিক-অসামাজিক কর্মকান্ড গুলো আপডেট করে রাখছে। অনেক শিশু-কিশোররা ইন্টারনেটে নির্ভরশীল হয়ে পড়ছে, যা এক সময়ে মহাবিপদের ও আশঙ্কা দেখা দিতে পারে। সন্তানেরা লেখাপড়ার বদলে ইন্টারনেট নিয়ে খেলায় ব্যস্ত হয়ে পড়বে।
বিশেষজ্ঞদের মতে; এক সময়ে বলা হতো টিভি দেখলে চোখের যে ক্ষতি সাধন হতো। তার চেয়ে বেশি চোখের ক্ষতি হচ্ছে মোবাইল ফোন ব্যবহারের মাধ্যমে। কিন্তু এখন প্রত্যেক অভিভাবকদের উচিত সন্তানদেরকে এন্ডোয়েড মোবাইলে ইন্টারনেট ব্যবহারে সচেতন হওয়া। যদি ও সন্তানরা ইন্টারনেট ব্যবহার করে, তাহলে নেটে কি দেখছে তা নিজে খেয়াল রেখে অপ্রয়োজনীয় কোনো কিছু যেন দেখতে না পারে সে ব্যাপারে নজর রাখা উত্তম।
প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞদের মতে; শিশু-কিশোরদের ইন্টারনেট নিরাপদ করতে অভিভাবক মহল সচেতন থাকতে হবে। ইন্টারনেট ব্যবহার করতে গিয়ে কোনো বিপদে পড়ছে কিনা? তাই যদি কোনো ডিভাইস দেয়া হয়, তাহলে গুগলে একটি প্যারেন্টাল কট্রোল সিস্টেম আছে, যা ব্যবহার করে তারা কি দেখছে তার ওপর নজরদারি করা সম্ভব বলে অনেকে মনে করেন।
এ ছাড়া ও ফেসবুকে বা মেসেঞ্জারের ক্ষেত্রে ইন্টারনেটের চাইল্ড ভার্সন আছে, সে ক্ষেত্রে তাদের জন্যে একটি অ্যাকাউন্ট তৈরি করে দেয়া যায়। যেটি তারা ব্যবহার করলে ও অভিভাবকদের সুপারভাইস করার সুযোগ থাকে। তবে ইন্টারনেট সংযোগ নেয়ার ক্ষেত্রে সচেতন হতে হবে। যে কোম্পানির কাছ থেকে ইন্টারনেট সংযোগ নেয়া হচ্ছে, তা‘ শিশু-কিশোরদের সেফ ইন্টানেটের ফিচারটি আছে কিনা, সেটি যাচাই করে সংযোগ দেয়ার চেষ্টা করবেন। আমরা চাই প্রত্যকটি শিশুর সুন্দর জীবন গড়ে উঠুক।