খাসিয়াদের সংস্কৃতিকে পুনরুজীবিত করতে জাফলংয়ে নির্মিত হচ্ছে আধুনিক সংস্কৃতি কেন্দ্র

162

কে.এম.লিমন, গোয়াইনঘাট থেকে :
ভারতের ত্রিপুরা ও মেঘালয়সহ বিভিন্ন রাজ্য থেকে গোয়াইনঘাট উপজেলার জাফলংয়ে বসতি গড়ে খাসিয়া সম্প্রদায়ের লোকজন। এখানে  বসবাসরত খাসিয়া সম্প্রদায়ের জনগোষ্ঠীর রয়েছে নিজস্ব ভাষা ও সংস্কৃতি। যার মধ্যে রয়েছে তাদের নিজস্ব ভাষায় গান, নৃত্য ও নাটক। কিন্তু কালের বিবর্তনে তা হারিয়ে যাচ্ছে। বিলুপ্ত প্রায় তাদের সংস্কৃতিকে পুনরুজীবিত করতে সম্প্রতি পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে বর্তমান সরকারের বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোর্ড। সে লক্ষ্যে ১৭ লক্ষ টাকা ব্যয়ে উপজেলার সংগ্রাম পুঞ্জি এলাকায় বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোর্ড কর্তৃক নির্মিত হচ্ছে খাসিয়া সংস্কৃতি কেন্দ্র। এতে করে একদিকে যেমন খাসিয়া সম্প্রদায়ের নিজস্ব সংস্কৃতি রক্ষা পাবে। অন্যদিকে জাফলংয়ে আগত পর্যটকদের বিনোদনে বাড়তি মাত্রা যোগ হবে বলে সংশ্লিষ্টরা আশা প্রকাশ করছেন।
জানা যায় গোয়াইনঘাটের ইউএনও স্থানীয় খাসিয়া সম্প্রদায়ের লোকজনের সাথে বিভিন্ন সময় আলোচনার মাধ্যমে তাদের সংস্কৃতি রক্ষায় সরকারের সংশ্লিষ্ট দপ্তরে একটি সংস্কৃতি কেন্দ্র নির্মাণের জন্য প্রস্তাবনা পাঠান। এরই প্রেক্ষিতে সিলেটের জেলা প্রশাসনের প্রত্যক্ষ তত্বাবধান ও উপজেলা প্রশাসনের তদারকির মাধ্যমে বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোর্ড কর্তৃক নির্মিত হচ্ছে খাসিয়া সংস্কৃতি কেন্দ্র। চলতি মাসের শেষের দিকে এই সংস্কৃতি কেন্দ্রটির নির্মাণ কাজ সম্পন্ন হয়ে আগামী মাসের প্রথম সপ্তাহেই চালু করা হবে বলে সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন।
এ ব্যাপারে গোয়াইনঘাট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. সালাহ উদ্দিন বলেন, জাফলং হচ্ছে বাংলাদেশের অন্যতম একটি পর্যটন কেন্দ্র। পিয়াইন নদীর পাদদেশে অবস্থিত খাসিয়া পুঞ্জি পর্যটকদের জন্য হতে পারে অন্যতম একটি আকর্ষণ। এই সংস্কৃতি কেন্দ্রের মাধ্যমে খাসিয়াদের জীবন মান, পোষাক পরিচ্ছেদ, গান, নৃত্য, নাটকসহ গুরুত্বপূর্ণ বিষয়াদি উপস্থাপনের মাধ্যমে পর্যটকদের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হবে। এরই মাধ্যমে একদিকে যেমন খাসিয়া সম্প্রদায় ফিরে পাবে তাদের নিজস্ব সংস্কৃতি। আরেকদিকে জাফলংয়ে খাসিয়া সংস্কৃতি কেন্দ্র চালুর মাধ্যমে খাসিয়া সম্প্রদায়ের বিলুপ্ত প্রায় সংস্কৃতি পুনরুদ্ধারের পাশাপাশি পর্যটকদের আকর্ষণের মাধ্যমে উপার্জনের একটি নতুন কর্মক্ষেত্র তৈরি হবে।