নারীর ক্ষমতায়ন উন্নয়ন ও বাংলাদেশ

10

কোনো দেশ যখন বড় ধরনের বিপর্যয়ের মুখে পড়ে তখন প্রয়োজন হয় শক্ত, দক্ষ ও যোগ্য নেতৃত্বের। ১৯৭৫ সালে বড় ধরনের জাতীয় বিপর্যয়ের মুখে পড়ে নেতৃত্বের অভাবে দিশাহারা হয়ে পড়েছিল বাংলাদেশ। এই দুঃসময়ে নেতৃত্বের এই অভাব পূরণ করেছেন বাংলাদেশের বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। একটানা চার দশক মৃত্যুর সঙ্গে লড়ার সাহস দেখিয়ে তিনি আজ দেশের শক্তিশালী নেতৃত্বের অভাব পূরণ করেছেন। গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠা করেছেন। ছোট ও উন্নয়নশীল বাংলাদেশের নেতা ও প্রধানমন্ত্রী হিসেবে বিশ্বের বিশাল পরিধিতে তিনি পরিচিত ও আলোচিত। আর বিশ্বব্যাপী করোনাভাইরাসের মহামারির মধ্যেও ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরাম বলছে, ২০২০-এ বাংলাদেশের অর্থনীতি দক্ষিণ এশিয়ায় দ্বিতীয় বৃহত্তম। অর্থনৈতিক অর্জন এবং সাম্প্রতিক করোনা মোকাবেলায় সাফল্যের সঙ্গে এগিয়ে যাওয়ার জন্য বিশ্বব্যাপী শেখ হাসিনার দক্ষ নেতৃত্বের ভূয়সী প্রশংসা হচ্ছে।
বাংলাদেশের নারী নেতৃত্ব বিশ্বজুড়েই আলোচিত। দেশের প্রধানমন্ত্রী, বিরোধীদলীয় নেতা ও জাতীয় সংসদের স্পিকার নারী। জাতীয় সংসদের উপনেতা এবং মন্ত্রিসভায় একজন পূর্ণ মন্ত্রী, দুজন প্রতিমন্ত্রী ও একজন উপমন্ত্রী রয়েছেন নারী। জাতিসংঘসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে আটজন নারী রাষ্ট্রদূত দক্ষতার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করছেন। নারীর ক্ষমতায়নে উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত বাংলাদেশ, যা বিশ্বের অনেক দেশের কাছেই রোল মডেল। রাজনীতি, প্রশাসন, পররাষ্ট্র, আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীসহ সব ক্ষেত্রেই নারীর লক্ষণীয় সরব উপস্থিতি। প্রথম নারী উপাচার্য, প্রথম নারী পর্বতারোহী, বিজিএমইএর প্রথম নারী সভাপতিসহ অসংখ্য প্রথম গত এক দশকেই সৃষ্টি হয়েছে। নারীদের এই অভূতপূর্ব ক্ষমতায়ন ও অগ্রগতির পথ তৈরি করে দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। নারীর ক্ষমতায়নের রূপকার তিনি। শিক্ষায় নারীদের শতভাগ অংশগ্রহণ নিশ্চিত করা, অর্থনৈতিকভাবে স্বাবলম্বী করে তোলা, নারীবান্ধব কর্মপরিবেশ সৃষ্টি করা, আইন প্রণয়নের মাধ্যমে নারীদের সুরক্ষা ও অধিকার নিশ্চিত করা এবং রাজনীতিতে নারীদের সক্রিয় অংশগ্রহণকে উৎসাহিত করার জন্য শেখ হাসিনার গৃহীত উদ্যোগ ও সাফল্য অভাবনীয়।
নারীর ক্ষমতায়নে ভূমিকা রাখার জন্য গত বছরের মার্চে আন্তর্জাতিক নারী দিবসে শেখ হাসিনাকে ‘লাইফ টাইম কন্ট্রিবিউশন ফর উইমেন এমপাওয়ারমেন্ট’ অ্যাওয়ার্ডে ভূষিত করে ইনস্টিটিউট অব সাউথ এশিয়ান উইমেন। স্বাস্থ্য খাতে তথ্য-প্রযুক্তির ব্যবহারের মাধ্যমে শিশু ও মাতৃ মৃত্যুর হার হ্রাস এবং ক্ষুধা ও দারিদ্র্যের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে বিশেষ অবদানের জন্য সাউথ অ্যাওয়ার্ড লাভ করেছেন তিনি।
তাঁর হাত ধরেই আরো এগিয়ে যাবে বাংলাদেশ, এটাই আমাদের প্রত্যাশা।