বিয়ানীবাজারের শেওলা স্থলবন্দর দিয়ে দেশে ফিরলেন আরও ১৪ বাংলাদেশি

6

মাহবুব আহমদ খান বিয়নীবাজার থেকে :
মহামারি নভেল করোনা ভাইরাস প্রাদুর্ভাবে চলমান লকডাউনে ভারতের বিভিন্ন এলাকায় আটকে পড়া আরও ১৪ বাংলাদেশি দেশে ফিরেছেন। দীর্ঘ প্রায় দুই মাস পর দ্বিতীয় দফায় আরও ১৪ জন বাংলাদেশি দেশে ফেরত আসার কারণে সরগরম হয়ে উঠেছে বিয়ানীবাজারের শেওলা স্থল বন্দরের ইমিগেশন। এর আগে গত ২৮ মে শেওলা স্থলবন্দর হয়ে দেশে ফেরত আসেন ২০ জন বাংলাদেশি নাগরিক। ওইদিন বাংলাদেশ থেকে ভারতে ফেরত যান ১২০ ভারতীয় নাগরিক। দুই দেশের সরকারের শীর্ষ পর্যায়ের যোগাযোগের মাধ্যমে আবেদন করা এসব নাগরিকদের বিশেষ ব্যবস্থায় নিজ নিজ দেশে প্রেরণ করা হয়।
গতকাল শুক্রবার দুপুরে ১৪ বাংলাদেশির দেশে ফেরত আসার প্রক্রিয়া সীমান্ত আইন ও স্থলবন্দরের স্বাভাবিক নিয়মে সম্পাদন করা হয়েছে। এসময় বিজিবি, ইমিগ্রেশন ও কাস্টমসের দায়িত্বশীল কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
স্থলবন্দর সূত্রে জানা গেছে, বিশ্বজুড়ে করোনা ভাইরাসের বিস্তার ঠেকাতে সতর্কতামূলক সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ইমিগ্রেশন সুবিধা বন্ধ থাকায় ভারতের বিভিন্ন এলাকায় এসব বাংলাদেশি নাগরিকরা আটকে পড়েছিলেন। এর আগে তারা পড়ালেখা, ব্যবসা-বাণিজ্য ও চিকিৎসাসহ নানা কারণে ভারতে গিয়েছিলেন। বর্তমান পরিস্থিতিতে সরকারি নির্দেশনা ও বিশেষ ব্যবস্থাপনায় শেওলা স্থলবন্দর দিয়ে গত ২৮ মে প্রথম দফায় ২০ জন বাংলাদেশি এবং ৬ জুন দ্বিতীয় দফায় আরও ১৪ জন বাংলাদেশি নাগরিককে দেশে ফিরিয়ে আনা হয়েছে। ফেরত আসা সকলের স্বাস্থ্য পরীক্ষার পর সব ধরনের প্রাতিষ্ঠানিক কার্যক্রম শেষে সবাইকে হোম কোয়ারেন্টিনে অবস্থান করার নির্দেশে বাড়ি ফেরত যাবার সুযোগ দেয়া হয়েছে। তবে কারও শরীরে করোনাভাইরাসের অস্তিত্ব পাওয়া যায়নি।
স্থলবন্দরের মেডিকেল টিমের দায়িত্বে থাকা বিয়ানীবাজার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল অফিসার ডা. নয়ন মল্লিক বলেন, ভারত থেকে দেশে ফেরা ১৪ বাংলাদেশি নাগরিককে শেওলা স্থলবন্দর হয়ে বাংলাদেশের অভ্যন্তরে প্রবেশের পর সবাইকে হোম কোয়ারেন্টাইনে অবস্থান করার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। তাদের শরীরে করোনাভাইরাসের কোনো উপসর্গ মেলেনি। পাশাপাশি তারা সকলেই শারীরিকভাবে সুস্থ রয়েছেন।