শিক্ষিতদের জন্য নতুন কর্মসংস্থান

12

দেশে শিক্ষার হার বেড়েছে, অন্যদিকে বেড়েছে শিক্ষিত বেকারের সংখ্যাও। কয়েক বছর আগে সরকারি উন্নয়ন গবেষণা প্রতিষ্ঠান বিআইডিএস পরিচালিত এক গবেষণায় বলা হয়, দেশে মাধ্যমিক থেকে স্নাতকোত্তর ডিগ্রিধারী তরুণদের এক-তৃতীয়াংশ পুরোপুরি বেকার। এর আগে বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর এক জরিপে দেশে মোট শ্রমশক্তির ৪ দশমিক ২ শতাংশ বেকার বলে জানানো হয়েছিল।
শিক্ষিত ও কর্মক্ষম তরুণদের জন্য যথাযথ কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করা এখন সবচেয়ে বড় সমস্যা হিসেবে প্রতীয়মান। সরকারি চাকরির বাইরে অন্য কোনো খাতে সেভাবে কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হচ্ছে না। ফলে সরকারি চাকরির ব্যাপারে তরুণদের মধ্যে আগ্রহ বাড়ছে। আর সে কারণেই বিসিএসে প্রতিবছর যোগ্য প্রার্থীর সংখ্যাও বাড়ছে। প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষার মাধ্যমে সরকারি চাকরিতে যোগদান করতে পারলে ভবিষ্যৎ সুন্দর হবে, এ আশায় তরুণরা আগ্রহী হচ্ছে বিসিএসে। গত ৯ বছরে ১০টি বিসিএসে অংশগ্রহণকারী প্রার্থীর সংখ্যা বেড়ে হয়েছে আড়াই গুণ। বিশেষ করে, গত তিন বছরে এই আগ্রহ বেড়েছে সবচেয়ে বেশি। কয়েক বছর ধরে বিসিএস পরীক্ষায় উত্তীর্ণ বেশিসংখ্যক প্রার্থীকে প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির নন-ক্যাডার পদে নিয়োগের সুপারিশ করাটাকে অনেকটা বোনাস বা বাড়তি পাওয়া হিসেবে দেখছেন প্রার্থীরা। প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হলে যে পদেই হোক, চাকরি অনেকটা নিশ্চিত। এ ছাড়া এখন সরকারি চাকরিতে বেতন ও অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা অনেক বেড়েছে।
আসলে সবারই চাওয়া চাকরির নিশ্চয়তা। আর বিসিএসে একবার উত্তীর্ণ হতে পারলে সে নিশ্চয়তা পাওয়া যাচ্ছে বলেই বিসিএসে আগ্রহী হচ্ছেন শিক্ষিত তরুণরা। তবে মনে রাখতে হবে, দেশে এখন শিক্ষিত, কর্মক্ষম ও উপযুক্ত তরুণদের সংখ্যা বাড়ছে। যোগ্যতার দিক থেকেও আজকের দিনের তরুণরা পিছিয়ে নেই। তাই তাদের জন্য নতুন নতুন কর্মসংস্থানের সুযোগও সৃষ্টি করতে হবে।