নগরীতে নিত্যপণ্যে দ্রব্যের দাম ঊর্ধ্বমুখী, দেশী পেঁয়াজ ৬০ টাকা

28

সিন্টু রঞ্জন চন্দ :
নগরীতে নিত্যপণ্যে দ্রব্যের বাজার এখন ঊর্ধ্বমুখী। গত ঈদের পর থেকে কয়েক দফায় আলুর দাম বৃদ্ধি পেয়ে খুচরা বাজারে সেই আলু বিক্রি হচ্ছে এখন ৩৫ থেকে ৪০ টাকায়। পাশাপাশি এখন পেঁয়াজের দাম বেড়ে কেজিপ্রতি ১৫ থেকে ২০ টাকায় দাঁড়িয়েছে। আর সিলেটের বাজারে দেশী পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকা প্রতিকেজি। এদিকে কাচা মরিচের দাম ২০০ টাকার নিচে এখনও নেমে আসেনি।
খুচরা ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন, করোনা ও বন্যার কারনে আলু, কাঁচা মরিচ ও পেঁয়াজের দাম বেড়েই চলেছে। ফলে ভোক্তারা এসব জিনিস ক্রয় করছেন কম। আগামীতে নিত্যপণ্যে দ্রব্যের দাম আরো বাড়তে পারে বলে জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা। তারা আরো বলছেন, সামনে পেঁয়াজ রোপণের মৌসুম। যে কারণে এখন বাজারে পেঁয়াজ আসতেছে না। তাই দাম বাড়ছে। একইভাবে কাচা মরিচেরও দাম বাড়ছে।
ক্রেতারা জানিয়েছেন, যদি প্রশাসন আগে-বাগে বাজার নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থায় না যায় তাহলে বাজারে নিত্যপণ্যে দ্রব্যে কিনা মশকিল হবে।
নগরীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা গেছে, টমেটো ১২০ টাকা, শসা ৫০ টাকা, বরবটি ৬০ টাকা, লাল আলু ৬০ টাকা, ঢেঁড়শ ৫০ থেকে ৬০ টাকা, পটল ৫০ টাকা, কাঁচকলা হালি ৬০ টাকা, কাকরোল ৫০ টাকা, করলা ৬০ টাকা, ফুলকপি ৮০ টাকা, লাউ প্রতি পিস ৬০ থেকে ১০০ টাকা, বেগুন ৫০-৬০ টাকা, লাল শাক আঁটি ৩০ টাকা, ডাটা শাক আঁটি ৩০ টাকা, থোড় পিস ৫০ টাকাদরে বিক্রি হচ্ছে। সবজির বাজারে কেবল স্বস্তিদায়ক আলুর দাম। সিলেটের বাজারে আলু এখন ৩৫ থেকে ৪০ টাকা কেজি। ফলে আলুতেই ভরসা নিম্ন ও নিম্নমধ্যবিত্তদের।
বন্দরবাজারের এক ভুষিমালের দোকানদার জানালেন, পাইকারি বাজারে পেঁয়াজের দাম বেড়েছে। তাই ৪৫ টাকা কেজিদরে পেঁয়াজ বিক্রি করতে হচ্ছে। ক’দিন আগে আড়ৎ থেকে ৪০ টাকা কেজি কিনে এনেছি। পচা বাদ দিয়ে ৪৫ থেকে ৪৬ টাকায় বিক্রি করতে হচ্ছে।
বন্দরবাজারের কাঁচামালের ব্যবসায়ী জানান, বাজারে মরিচের আকাল। বস্তা হিসেবে চড়া দামে কিনে আনতে হয়। আর ২০০ টাকা কেজি বিক্রি করে মাত্র ২০ টাকা লাভ করি।
এদিকে কাঁচা মরিচ ও পেঁয়াজের সঙ্গে যেন তাল মিলিয়ে চলছে সিলেট নগরীর কাচা বাজার। সিলেটের বাজারে কেজি ৩০ থেকে ৪০ টাকার নিচে মেলে না কোনো সবজি। নিত্যপণ্যের দাম শুনে যেন কপালে চোখ ওঠে ক্রেতাদের। যে কারণে নিম্ন ও নিম্নমধ্যবিত্তরা পড়েছেন বিপাকে।