সিলেট-সুনামগঞ্জ সড়কে যাত্রীবাহী লেগুনা খাদে পড়ে একজনের মৃত্যু, শিশুসহ আহত ৪

30

আতিকুর রহমান মাহমুদ ছাতক থেকে :
সিলেট সুনামগঞ্জ সড়কে দ্রুতগামীর যাত্রীবাহী লেগুনা খাদে পড়ে আহত মখজ্জুল আলী (৪২) নামের এক ব্যক্তি চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন। তিনি ছাতক উপজেলার গোবিন্দগঞ্জ-সৈদেরগাঁও ইউনিয়নের বাউভোগলী গ্রামের মৃত মছলন্দর আলীর পুত্র। এসময় আহত হয়েছেন নিহত মখজ্জুল আলীর স্ত্রী হাসিনা বেগম (৩৬), শিশু পুত্র আমিনুর রহমান (৪), কন্যা শান্তিয়া বেগম (৯) ও ফেরদৌসী বেগম (৭)। তাদেরকে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
মঙ্গলবার বিকালে সিলেট-সুনামগঞ্জ সড়কের বুড়াইরগাঁও এলাকায় এ দুর্ঘটনাটি ঘটে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, জাউয়াবাজার থেকে যাত্রী নিয়ে দ্রুতগতিতে গোবিন্দগঞ্জে যাচ্ছিল লেগুনা। যার নং সিলেট ছ ১১ ২০৭৩। লেগুনাটি বুড়াইরগাও এলাকার আলাপুর গ্রাম সংলগ্ন এলাকায় পৌঁছামাত্র যাত্রী নিয়ে খালে পড়ে যায়। এ সময় স্থানীয়রা লেগুনায় থাকা যাত্রীদের উদ্ধার করে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করেন। চিকিৎসাধিন অবস্থায় মখজ্জুল আলী সেখানে মারা যান।
খবর পেয়ে জয়কলস হাইওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ রনু মিয়ার নেতৃত্বে একদল পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে দুর্ঘটনা কবলিত লেগুনাটি উদ্ধারের ব্যবস্থা নেন।
গোবিন্দগঞ্জ-সৈদেরগাঁও ইউনিয়ন পরিষদের ৬ নং ওয়ার্ডের মেম্বার সুরেতাজ মিয়া বলেন, দুর্ঘটনায় নিহত মখজ্জুল আলী তার পরিবারের সদস্যদের নিয়ে জাউয়া এলাকার ছিকনাকান্দি গ্রামে রোগি দেখে লেগুনাযোগে বাড়ি ফিরছিলেন। কিন্তুগ্র“র্ঘটনায় মখজ্জুল আলী আর বাড়িতে পৌঁছতে পারেন নি, বাড়ী ফিরবেন লাশ হয়ে। তার স্ত্রী ও শিশু সন্তানরা হাসপাতালের বিছানায় যন্ত্রণায় কাতরাচ্ছেন। তাদের সান্ত্বনা দেয়ার মতো কেউ নেই পাশে। যন্ত্রণার সাথে যুক্ত হয়েছে শোক।
হাইওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ রুনু মিয়া ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন চিকিৎসাধীন অবস্থায় হাসপাতালে একজন মারা গেছেন। নিহতের পরিবারের আরো চার সদস্য গুরুতর আহত অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি আছেন বলে তিনি জানিয়েছেন। তিনি বলেন দুর্ঘটনার পর ঘাতক চালক পালিয়ে গেছে।