বেজিংয়ে প্রবাসী বাংলাদেশীদের সংবর্ধনায় প্রধানমন্ত্রী ॥ সবার সঙ্গে সুসম্পর্ক রেখে এগিয়ে যাচ্ছে দেশ

43

কাজিরবাজার ডেস্ক :
চীন সফররত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, সবার সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক রেখেই দেশ এগিয়ে যাচ্ছে। সরকারের স্থিতিশীলতার কারণে দেশে বিনিয়োগের পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। বুধবার দুপুরে চীনের বেজিংয়ে নাগরিক সংবর্ধনায় অংশ নিয়ে তিনি এসব কথা বলেন। এর আগে স্থানীয় সময় সকালে বেজিং আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরে পৌঁছলে প্রধানমন্ত্রীকে লালগালিচা সংবর্ধনা দেয়া হয়।
চীন সফরের তৃতীয় দিন বুধবার স্থানীয় সময় বিকেলে বেজিংয়ে প্রবাসী বাংলাদেশীদের দেয়া নাগরিক সংবর্ধনায় অংশ নেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আলোচনার শুরুতেই দেশের অর্থনীতিতে প্রবাসীদের অবদানের কথা তুলে ধরেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, চীন ও ভারতের মতো সব দেশের সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক রেখেই দেশ এগিয়ে যাচ্ছে। দেশ ও সরকার স্থিতিশীল আছে বলেই দেশে বিনিয়োগের পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। যারা স্বাধীনতা চায়নি তারাই উন্নয়নে বাধা তৈরি করছে উল্লেখ করে ষড়যন্ত্রকারীদের বিরুদ্ধে সতর্ক থাকার আহ্বান জানান শেখ হাসিনা। পঁচাত্তরের খুনীদের শাস্তি হলেও মূল পরিকল্পনাকারীদের এখনও বিচার হয়নি মন্তব্য করে ভবিষ্যতে এদের বিচার নিশ্চিতের প্রতিশ্রুতি দেন প্রধানমন্ত্রী। খবর বাসসর।
এর আগে বুধবার স্থানীয় সময় সকালে বেজিং আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছলে প্রধানমন্ত্রীকে স্বাগত জানান চীনের পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী কিং গ্যাং। এ সময় শেখ হাসিনাকে লালগালিচা সংবর্ধনা দেয়া হয়। পরে তাকে গার্ড অব অনার দেয় চীনের সশস্ত্র বাহিনীর একটি চৌকস দল। বিমানবন্দরের আনুষ্ঠানিকতা শেষে মোটর শোভাযাত্রাসহকারে ডিয়াও ইউ তাই স্টেট গেস্ট হাউজে নেয়া হয় শেখ হাসিনাকে। সফরকালে তিনি সেখানেই থাকবেন। চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের আমন্ত্রণে গত ১ জুলাই দেশটিতে আসেন বাংলাদেশ সরকারপ্রধান। সেদিন রাতে লিয়াওনিং প্রদেশের দালিয়ানে পৌঁছানোর পর ২ জুলাই বিভিন্ন কর্মসূচীতে যোগ দেন প্রধানমন্ত্রী। প্রথমে দালিয়ান আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরামের ‘এ্যানুয়াল মিটিং অব দ্য নিউ চ্যাম্পিয়ন্স-২০১৯’ শীর্ষক গ্রীষ্মকালীন সম্মেলনে অংশ নেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এর পর বিকেলে ‘কো-অপারেশন ইন দ্য প্যাসিফিক রিম’ শীর্ষক প্যানেল আলোচনায় অংশ নেন তিনি। বৃহস্পতিবার দুপুরে চীনের প্রধানমন্ত্রী কেকিয়াংয়ের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক করবেন শেখ হাসিনা। বৈঠকের পর দুই দেশের মধ্যে কয়েকটি চুক্তি ও সমঝোতা স্মারক সই হতে পারে। দুপুরে চীনা প্রধানমন্ত্রীর দেয়া ভোজে যোগ দেবেন বাংলাদেশ সরকারপ্রধান। এদিন বিকেলে চীনের ব্যবসায়ী নেতাদের সঙ্গে গোলটেবিল বৈঠকেও অংশ নেবেন তিনি। ৫ জুলাই বিকেলে চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সঙ্গে বৈঠক করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। রাতে চীনা প্রেসিডেন্টের দেয়া নৈশভোজে অংশ নেবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।