সিলেট সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী বলেছেন, মণিপুরী নৃত্য আমাদের সিলেট অঞ্চলের ঐতিহ্যের অবিচ্ছেদ্য অংশ। রবীন্দ্রনাথ সিলেট সফরকালে মণিপুরী নৃত্য দেখে মুগ্ধ হয়েছিলেন এবং শান্তি নিকেতনে মণিপুরী নৃত্য চর্চার ব্যবস্থা করেছিলেন। নতুন প্রজন্মকে এ নৃত্য সম্পর্কে জানাতে হবে। তাদেরকে প্রশিক্ষণের মাধ্যমে এ বিষয়ে দক্ষ করে তুলতে হবে।
একাডেমি ফর মনিপুরী কালচার এন্ড আর্টস-এর আয়োজনে এবং সিলেটস্থ ভারতীয় সহকারী হাই কমিশনের সহযোগিতায় আয়োজিত মনিপুরী নৃত্য কর্মশালার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
সোমবার নগরীর মণিপুরী রাজবাড়ী মহাপ্রভু জিও মন্দিরে অনুষ্ঠিত ১০ দিন ব্যাপি মণিপুরী নৃত্য কর্মশালার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের শুরতে স্বাগত বক্তব্য রাখেন একাডেমি ফর মনিপুরী কালচার এন্ড আর্টস-এর সাধারণ সম্পাদক শান্তনা দেবী।
একাডেমী ফর মনিপুরী কালচার এন্ড আর্টসের সভাপতি দীগেন সিংহের সভাপতিত্বে ও সংস্কৃতিকর্মী রবিকিরণ সিংহ রাজেশের পরিচালনায় অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন, সিলেট ভারতীয় সহকারী হাই কমিশনার সিলেট এল. কৃষ্ণমূর্তি, সিলেট প্রেসক্লাবের সভাপতি ইকরামুল কবির, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব অনিল কিষন সিংহ, বাংলাদেশ মণিপুরী সাহিত্য সংসদের সভাপতি এ কে শেরাম, ভারতীয় সহকারী হাই কমিশনের সেকেন্ড সেক্রেটারী গিরিশ পূজারী, ভারতের মণিপুর জওহরলাল নেহারু ডান্স একাডেমির নৃত্য প্রশিক্ষক থোকচম ইবেমমুবি ও কে. যাদু সিংহ।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে আরিফুল হক চৌধুরী আরো বলেন, মণিপুরী নৃত্যকে আরো উন্নত পর্যায়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য সব ধরনের নৃত্য প্রশিক্ষণের উদ্যোগ গ্রহণ করা হবে। সিলেট নগরীকে পর্যটন নগরী হিসেবে গড়ে উঠবে। ধর্মবর্ণ নির্বিশেষে হিংসা বিদ্বেষ ভুলে পারস্পরিক সহযোগিতার মাধ্যমে সিলেটকে বাংলাদেশের রোড মডেল নগরী হিসেবে গড়ে উঠবে।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে ভারতীয় সহকারী হাই কমিশনার এল. কৃষ্ণমূর্তি বাংলাদেশ ও ভারতের সম্পর্ক অত্যন্ত সৌহার্দ্যপূর্ণ। সাংস্কৃতিক সহযোগিতার মাধ্যমে তা আরো দৃঢ় হবে। বিজ্ঞপ্তি
