তাহিরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ॥ আড়াই লক্ষ মানুষকে চিকিৎসা দিচ্ছেন একজন চিকিৎসক !

47

বাবরুল হাসান বাবলু তাহিরপুর থেকে :
চিকিৎসক সংকটের মধ্যেও প্রেষনে ও মৌখিক অর্ডারে বদলি ৪ চিকিৎসক। আড়াই লক্ষাধিক জনগোষ্ঠীর স্বাস্থ্য সেবা দিচ্ছেন এক জন চিকিৎসক। এমনটাই দেখা গেলে সোমবার তাহিরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ঘুরে।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সেটি ৩০ শয্যা থাকাকালীন ৯ জন চিকিৎসকের পদ ছিল। তখনো প্রায় সময়ই চিকিৎক শূন্য ছিল কমপ্লেক্সটি। কখনো একদিনের জন্যও ৯টি চিকিৎসকের পদ পূরণ হয় নি। ৩ মাস পূর্বে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটি ৫০ শয্যায় উন্নীত করণ হয়। কিন্তু ৫০ শয্যা হাসপাতালের জন্য অদ্যবদি কোন নতুন লোকবল নিয়োগ দেয়নি কর্তৃপক্ষ। তাই পুরনোরাই ভরসা। ৩০ শয্যা হাসপাতালের জন্য যে লোকবল ছিলো তা আজও আছে। এরই মধ্যে স্বাস্থ্য বিভাগের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের আদেশে গত এক মাস ধরে ডা. তানভীর আনসারীকে দক্ষিণ সুনামগঞ্জ পাগলা উপস্বাস্থ্য কেন্দ্রে (মৌখিক নির্দেশ), ডা. মির্জা রিয়াদ হাসান ও ডা. মৃত্যুঞ্জয় রায়কে সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতাল এবং ডা. সাব্বির আহমেদকে কক্সবাজার রোহিঙ্গা ক্যাম্পে প্রেষনে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। ইউএইচএফপিও ডা. ইকবাল হোসেন দাপ্তরিক কাজে বিভিন্ন সময়ে জেলা-উপজেলায় সভা-সেমিনারে ব্যস্ত সময় পার করছেন। বর্তমানে হাসপাতালে একমাত্র চিকিৎসক সুমন বর্মণ চিকিৎসা সেবা দিয়ে আসাছেন। আসছে বর্ষা আর হঠাৎ করেই বাড়াছে বিভিন্ন রোগের প্রাদুর্ভাব। প্রতিদিনই স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভীড় বাড়াছে রোগীর। আড়াই লক্ষাধিক জনগোন্ঠির চিকিৎসা সেবা দিতে গিয়ে হিমশিম খাচ্ছেন একমাত্র চিকিৎসক সুমন বর্মন।
তাহিরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা সেবা নিতে আসা নিতে আসা দক্ষিণ শ্রীপুর ইউনিয়নের পাঠাবুকা গ্রামের আব্দুর রশিদ বলেন, তিনি সকাল ১০ টায় হাসপাতালে এসেছিলেন কিন্তু ডাক্তার সাহেবের অফিসে রোগীদের বেশী ভীড় থাকায় তিনি দু ঘন্টা অপেক্ষা করে ডাক্তার দেখিয়েছেন।
তাহিরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স মেডিকেল অফিসার সুমন বর্মণ বলেন, গত কয়েকদিন ধরে রোগীদের একটু ভীড় হচ্ছে, যতটুকু সম্ভব চিকিৎিসা সেবা দিয়ে যাচ্ছি।
উত্তর বড়দল ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আবুল কাশেম বলেন, প্রায়ই চিকিৎস সংকটে থাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স যার ফলে দিন দিন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স বিমুখ হচ্ছে রোগীরা।
তাহিরপুর ইউএইচএফপিও ডা. ইকবাল হোসেন বলেন, ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের আদেশে ৪ জন চিকিৎসক অন্যত্র রয়েছেন। আমি অফিসিয়াল কাজে সভা সেমিনারে প্রায়ই ব্যস্ত থাকি। মেডিকেল অফিসার ডাক্তার সুমন একাই চিকিৎসা সেবা দিয়ে যাচ্ছেন। বিষয়টি আমি ঊর্ধŸতন কর্তৃপক্ষকে অবিহিত করেছি।