হজ্বযাত্রীদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা শুরু ১৬ জুন

70

কাজিরবাজার ডেস্ক :
হজ্বযাত্রীদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা শুরু হচ্ছে আগামী ১৬ জুন। সরকারী ও বেসরকারী ব্যবস্থাপনায় হজ্ব গমনেচ্ছুদের ম্যানিনজাইটিস, ইনফ্লুয়েঞ্জার টিকা প্রদান কার্যক্রম রাজধানীসহ সারাদেশে শুরু হচ্ছে। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়াধীন বিভিন্ন সরকারী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালসহ বিভিন্ন স্বাস্থ্য কেন্দ্রে টিকাদান ও স্বাস্থ্যপরীক্ষা শেষে স্বাস্থ্যসনদ দেয়া হবে। তবে আশকোনা হজ্ব ক্যাম্পে এ পরীক্ষা শুরু হবে ৩০ জুন থেকে। এ ছাড়া হজ্ব গাইডদের প্রশিক্ষণ শুরু হচ্ছে আগামীকাল বুধবার। ধর্মন্ত্রণালয় সূত্র এ তথ্য জানিয়েছে।
জানা গেছে, ঢাকা জেলা ও মহানগরী হজ্বযাত্রীরা যে সব স্বাস্থ্যকেন্দ্রে স্বাস্থ্য পরীক্ষা ও টিকা দিতে পারবেন, সেগুলো হলো- ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল, স্যার সলিমুল্লাহ মেডিক্যাল কলেজ ও মিটফোর্ড হাসপাতাল, শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল, কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতাল, ঢাকা ক্যান্টনমেন্ট; ৫০০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতাল, মুগদা; সরকারী কর্মচারী হাসপাতাল, ফুলবাড়িয়া; বাংলাদেশ সচিবালয় ক্লিনিক, সম্মিলিত সামরিক হাসপাতাল, ঢাকা ক্যান্টনমেন্ট ও কেন্দ্রীয় পুলিশ হাসপাতাল, রাজারবাগ। এছাড়াও শহীদ তাজউদ্দিন আহমেদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল, গাজীপুর ও শহীদ আহসান উল্লাহ মাস্টার জেনারেল হাসপাতাল, টঙ্গী, গাজীপুরে দুইটি মেডিক্যাল সেন্টার চালু করা হয়েছে। অন্য জেলার হজ্বযাত্রীদের জন্য বিভাগীয় শহরে সরকারী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল ও জেলা শহরে সিভিল সার্জনের কার্যালয়ে স্বাস্থ্য পরীক্ষা ও টিকাদান কেন্দ্র খোলা হয়।
আশকোনা হজ্ব অফিস পরিচালক সাইফুল ইসলাম জানান, রাজধানীসহ সারাদেশের উল্লিখিত কেন্দ্রসমূহে সরকারী-বেসরকারী ব্যবস্থাপনার হজ্বযাত্রীদের স্বাস্থ্য পরীক্ষার পর ম্যানিনজাইটিস, ইনফ্লুয়েঞ্জার টিকা নিয়ে সংগৃহীত স্বাস্থ্যসনদ বিমানবন্দরে প্রদর্শনের নিমিত্তে নিজ হেফাজতে রাখতে হবে।
বাংলাদেশ ইসলামিক ফাউন্ডেশন কার্যালয়ে (বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের তৃতীয় তলায়) এ সাক্ষাতকার হবে। ধর্ম মন্ত্রণালয়ের সহকারী সচিব (হজ্ব) এস এম মনিরুজ্জামান স্বাক্ষরিত এক নোটিশে বলা হয়েছে, জেলা প্রশাসকদের প্রস্তাবিত প্যানেলে থাকা ব্যক্তি এবং হজ অফিস, আশকোনা ও ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয় বরাবর আবেদনকারীদের সাক্ষাতকার গ্রহণ করা হবে। এ সাক্ষাতকারে সবাইকে প্রয়োজনীয় কাগজপত্রসহ (বায়ো ডাটা, জেলা প্রশাসকের মনোনয়নপত্র, অভিজ্ঞতা সনদ ও সংগ্রহীত হজ্বযাত্রীদের ভাউচার) যথাসময়ে উপস্থিত থাকার জন্য নির্দেশক্রমে অনুরোধ জানানো হয়েছে। নোটিশ অনুযায়ী, ১২ জুন সকাল ১০টা থেকে দুপুর সোয়া ১টা পর্যন্ত রংপুর ও রাজশাহী বিভাগের প্রার্থীদের সাক্ষাতকার হবে। ঢাকা ও ময়মনসিংহ বিভাগের প্রার্থীদের সাক্ষাতকার দুপুর ২টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত। ১৩ জুন সকাল ১০টা থেকে ১টা পর্যন্ত খুলনা ও বরিশাল বিভাগের প্রার্থী এবং ২টা থেকে ৫টা পর্যন্ত চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের প্রার্থীদের সাক্ষাতকার গ্রহণ করা হবে। আবেদনকারীদের মধ্যে যারা ইতিপূর্বে হজ্ব পালন করেননি তাদের সাক্ষাতকারে উপস্থিত হওয়ার প্রয়োজন নেই। এদিকে ধর্ম মন্ত্রণালয় প্রকাশিত তালিকা অনুযায়ী একাধিকবার হজ্ব গাইড ছিলেন এমন আবেদনকারীর সংখ্যা ৪৭ জন। এ ছাড়া সরকারী হজ্ব গাইড হিসেবে নিয়োগ পেতে অনলাইনে আবেদন করেছেন মোট ১১৫ জন। চলতি বছর সরকারী ব্যবস্থাপনায় ৭ হাজার ১৯৮ ও বেসরকারী ব্যবস্থাপনায় ১ লাখ ২০ হাজার হজ্বযাত্রী হজ্বে যাবেন। ইতোমধ্যেই নিবন্ধনসহ হজ্ব প্রক্রিয়ার সব কার্যক্রম প্রায় সম্পন্ন। ৪ জুলাই থেকে হজ্ব ফ্লাইট শুরু হওয়ার কথা রয়েছে। এবার প্রথমবারের মতো সৌদি আরবের বিমানবন্দরে ইমিগ্রেশনের বদলে বাংলাদেশে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে হজ্বযাত্রীদের ইমিগ্রেশন হবে। এতে করে হজ্বযাত্রীদের সৌদি আরবের বিমানবন্দরে ইমিগ্রেশনের জন্য ঘণ্টার পর ঘণ্টা বসে থাকতে হবে না।