ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্যের মধ্যদিয়ে পবিত্র শবে বরাত পালিত

14
পবিত্র শবে বরাতের রাতে হযরত শাহজালাল (রহ.)’র দরগাহ মসজিদে ধর্মপ্রাণ মুসল্লীরা ইবাদত বন্দেগীতে মশগুল ছিলেন। ছবি- রেজা রুবেল

স্টাফ রিপোর্টার :
যথাযোগ্য মর্যাদায় ও ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্যের মধ্যদিয়ে রবিবার দিবাগত রাতে পবিত্র শবে বরাত পালিত হয়েছে। সিলেটসহ সারাদেশের মুসলমানরা আল্লাহর রহমত ও নৈকট্য লাভের আশায় রাতভর নফল নামাজ আদায়, কোরআন তেলাওয়াত, জিকির-আজকার, মিলাদ ও দোয়া মাহফিলসহ ইবাদত-বন্দেগির মধ্যদিয়ে রাতটি অতিবাহিত করেছেন।
মহিমান্বিত এ রজনীতে মুসলিম উম্মাহর সুখ, শান্তি ও সমৃদ্ধি কামনা করে হযরত শাহজালাল (রহ.) দরগাহ মসজিদসহ নগরীর বিভিন্ন মসজিদ ও কবরস্থানে ছিল মুসল্লিদের ভিড়। দরগাহ মসজিদে রাতভর মুসল্লিদের ভিড় ছিল লক্ষণীয়। এছাড়া, হযরত শাহপরান (রহ.) জামে মসজিদ অন্যান্য মসজিদও রাতভর খোলা ছিল। সারারাত ইবাদত বন্দেগীর পর অনেক মুসল্লী গতকাল সোমবার রোজা রেখেছেন।
আলেমরা জানান, ১৪ শাবান সূর্যাস্ত থেকে পরের দিন সুবেহ সাদিক পর্যন্ত বান্দার ব্যক্তিগত ইবাদত-বন্দেগি ও জিকির আসকার আল্লাহর কাছে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। আর তাই রবিবার সন্ধ্যার পর থেকেই মসজিদে মসজিদে দেখা যায় ধর্মপ্রাণ মুসল্লিদের।
হযরত শাহজালাল (রহ.) দরগাহ মসজিদে আসা এক মুসল্লি বলেন, আল্লাহকে ডাকব, জিকির করব- যেন আল্লাহ আমার গুনাহ মাফ করেন এবং আমাকে সত্য ও সুন্দর পথে চলার তৌফিক দান করেন।
নগরীর মানিকপীর কবরস্থানে আসা আরো এক মুসল্লি জানালেন, স্বজনদের রুহের মাগফিরাত কামনা করে কবরস্থানে দোয়া করতে এসেছেন তিনি। পবিত্র শবে বরাতের এই রাতে পরম করুণাময় আল্লাহ খুলে রাখেন তাঁর দয়ার ভাণ্ডার। আর তাই সুখ-সমৃদ্ধি কামনা এবং নিজের গুনাহ মাফ করিয়ে নিতে আল্লাহ রহমত প্রার্থনা করেন বান্দারা।
উল্লেখ্য, ধর্মপ্রাণ মুসলমানদের জন্য ভাগ্য নির্ধারণের পবিত্র রজনী হচ্ছে শবে বরাত। ইসলাম ধর্মে শবে বরাত গুরুত্বপূর্ণ ৪টি রাতের অন্যতম। এই রাতে পরম করুণাময় আল্লাহ তাঁর বান্দার জন্য খুলে দেন রহমত আর দয়ার ভাণ্ডার। এই ভাগ্য রজনী জানান দেয় পবিত্র রমজান মাসের আগমনী বার্তা। এক মাস সিয়াম সাধনার আগে শবে বরাত উপলক্ষে নফল রোজা ও নফল নামাজের মধ্য দিয়ে মূলত মুসল্লিরা রমজানের প্রস্তুতি নেওয়ার সুযোগ পান।