ওসমানীনগরে প্রাইভেটকারের চাপায় মাদ্রাসার প্রিন্সিপাল নিহত, পরিকল্পিতভাবে হত্যার অভিযোগ পরিবারের

34
নিহত মাওলানা শায়খুল ইসলামের ফাইল ছবি।

ওসমানীনগর থেকে সংবাদদাতা :
ওসমানীনগরে প্রাইভেট কার চাপায় মাদ্রাসার প্রিন্সিপালকে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। নিহত মাওলানা শায়খুল ইসলাম (৫০)। উপজেলার শেখ ফজিলাতুন্নেসা ফাজিল মাদ্রাসার প্রিন্সিপাল সুনামগঞ্জের বিশ্বম্ভরপুর উপজেলার অনন্তপুর গ্রামের মৃত উস্তার আলীর ছেলে। অভিযোগ পাওয়া গেছে পূর্ব শত্র“তার জের ধরে একই মাদ্রাসার বাংলা বিভাগের শিক্ষক লুৎফুর রহমান তার প্রাইভেটকার দিয়ে চাপা দিয়ে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করেছেন ওই প্রিন্সিপালকে। গতকাল সকাল সাড়ে ১০টার দিকে সিলেট-ঢাকা মহাসড়কের উপজেলার বুরুঙ্গা সড়কের মুখ নামক এলাকায় ঘটনাটি ঘটে। ঘটনার সময় শিক্ষক লুৎফুর রহমান নিজেই প্রাইভেট কার চালিয়ে একই পথে যাচ্ছিলেন বলে প্রত্যক্ষদর্শী অনেকে জানান।
জানা যায়, বৃহস্পতিবার সকালে মাওলানা শায়েখুল ইসলাম মোটর সাইকেল যোগে তার কর্মস্থল বুরুঙ্গা শেখ ফজিলাতুন্নেসা ফাজিল মাদ্রাসার যাচ্ছিলেন। ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের বুরুঙ্গা সড়কের মুখ নামক স্থান থেকে বুরুঙ্গা রাস্তায় ঢুকার সময় পিছন দিক থেকে একই মাদ্রাসার বাংলা বিভাগের শিক্ষক লুৎফুর রহমান তার প্রাইভেটকার দিয়ে পিছন দিক থেকে মোটরসাইকেলকে ধাক্কা দেন। এ সময় ঘটনাস্থলেই মারা যান মোটর সাইকেলের আরোহী মাওলানা শায়খুল ইসলাম। খবর পেয়ে ওসমানীনগর থানা পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে লাশ উদ্ধার করে। এ সময় প্রাইভেটকারটিকে আটক করলেও চালক লুৎফুর রহমান পলাতক রয়েছেন। বিষয়টি প্রথমে সড়ক দুর্ঘটনা বলে জানাজানি হলেও পরবর্তীতে স্থানীয় একাধিক নির্ভরশীল সূত্রে গেছে নিহত মাও. শায়খুলের সাথে একই মাদ্রাসার সহকারী শিক্ষক লুৎফুর রহমানের বেশ কিছু দিন ধরে পূর্ব শত্র“তা চলে আসছিল। এই শক্রুতার জের ধরেই তিনি নিজ চালিত প্রাইভেট কার চাপা দিয়ে শায়খুল ইসলামকে পরিকল্পিত ভাবে হত্যা করেছেন। পরে বিষয়টিকে সড়ক দুর্ঘটনা বলে চালিয়ে দেয়ার চেষ্টায় লিপ্ত রয়েছেন।
শেরপুর হাইওয়ে থানার এস আই কামরুল ইসলাম জানান, সড়ক দুর্ঘটনায় প্রিন্সিপাল নিহত হওয়ার খবর পেয়ে হাইওয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গেলে পরিকল্পিতভাবে হত্যার অভিযোগ করেছেন মাদ্রাসা সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিবর্গসহ নিহতের স্বজনরা। বিষয়টি আমরা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
ওসমানীনগর থানার অফিসার ইনচার্জ এসএম আল মামুন বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য সিলেট ওসমানী হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে। প্রাইভেটকার থানায় আটক রয়েছে। তবে পূর্ব শক্রুতার জের ধরে একই মাদ্রাসার শিক্ষক ইচ্ছাকৃত ভাবে প্রাইভেট কার চাপা দিয়ে প্রিন্সিপাল মাওলানা শায়খুল ইসলাম হত্যা করেছেন বলে মৌখিক অভিযোগ পাওয়া গেছে। লিখিত অভিযোগ পেলে এ বিষয়ে তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা নেয়া হবে।