গোয়াইনঘাটে ধর্ষণের চেষ্টাকালে প্রবাসীর স্ত্রীর আঘাতে খুন হন মইনুল

6

কে.এম লিমন গোয়াইনঘাট থেকে :
গোয়াইনঘাটে যুবক মইনুল খুনের মামলায় আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন প্রবাসীর স্ত্রী সাফিয়া খাতুন। তিনি জবানবন্দিতে দাবি করেছেন, ঘটনার রাতে ঘরের বেড়া ভেঙে ঢুকে ধর্ষণের চেষ্টা করে মইনুল। এ সময় আত্মরক্ষার্থে দা দিয়ে প্রতিরোধের চেষ্টা করি। কাড়াকাড়ির সময় দা গলায় লেগে মইনুল মারা যায়।
হত্যা মামলায় সাফিয়াসহ ৪ জনকে অভিযুক্ত করা হলেও সাফিয়া জবানবন্দিতে বলেন, ঘটনার সময় আমার সঙ্গে আর কেউ ছিল না। এটা কোনো পরিকল্পিত হত্যাকান্ডও নয়। সিলেটের আমল গ্রহণকারী দশম আদালতের বিচারক আসমা জাহান এ জবানবন্দি রেকর্ড করেন।
গোয়াইনঘাট থানার ওসি (তদন্ত) দিলীপ কান্ত নাথ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় আদালতে সাফিয়ার জবানবন্দি রেকর্ড করা হয়।
আদালতে সাফিয়া বলেন, মইনুল তাকে প্রায়ই উত্যক্ত করত। চেষ্টা করত সম্ভ্রমহানির। বিষয়টি নিয়ে মইনুল ইসলামের পরিবার ও গ্রামবাসীকে একাধিকবার অবহিত করলেও কোনো সুরাহা হয়নি। মইনুলের ভয়ে রাতে প্রাকৃতিক কাজ সম্পাদন করতে ঘরের বাইরে বের হতে পারতেন না। ফলে বসতঘরে একটি বালতিতে প্রাকৃতিক কাজ সারতেন সাফিয়া।
তার ভয়ে একটি দা বালিশের পাশে রেখে সাফিয়া রাতযাপন করতেন। প্রতিদিনের মতো গত বুধবার রাতেও বালিশের পাশে দা নিয়ে তিনি ঘুমিয়ে পড়েন। হঠাৎ রাত ১১টার দিকে ঘরের বেড়া ভেঙে মইনুল বসতঘরে প্রবেশ করলে উপায়ন্তর না দেখে বালিশের পাশে থাকা দা হাতে নিয়ে মইনুলকে ঘর থেকে বের হয়ে যেতে বলেন সাফিয়া। কিন্তু ঘর থেকে বের না হয়ে মইনুল সাফিয়ার হাত থেকে দা কেড়ে নিতে যান এবং সাফিয়াকে আঘাতের চেষ্টা করেন। দা নিয়ে উভয়ের কাড়াকাড়ির এক পর্যায়ে মইনুলের ঘাড়ে আঘাত লাগে।
এদিকে খুন হওয়া মইনুলের ভাই খসরুলের দায়ের করা হত্যা মামলায় সাফিয়া বেগমসহ ৪ জনকে অভিযুক্ত করা হয়। খুন হওয়া মইনুল টুকইর (যথনাথা) গ্রামের মৃত রহমত আলীর ছেলে। গত বুধবার রাতে একই গ্রামের দুবাই প্রবাসী আলাউদ্দিনের স্ত্রী সাফিয়া বেগমের (৩৫) ঘর থেকে মইনুল ইসলাম নামে যুবকের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।