মৌলভীবাজারে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী মো. নাসিম এমপি ॥ নির্বাচন বানচালের চেষ্টা করে কোন লাভ হবে না

99

মৌলভীবাজার থেকে সংবাদদাতা :
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতি মন্ডলীর সদস্য স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী মো. নাসিম এমপি বলেছেন, ২০১৪ সালে খালেদা জিয়ার দল মানুষ-পুলিশ হত্যা করে নির্বাচন বন্ধ করতে চেয়েছিল, কিন্তু পারেনি। ৫ জানুয়ারীর নির্বাচন না হলে দেশে মার্শাল ‘ল’ থাকতো। নির্বাচনী ট্রেন মিস করে আম-ছালা সবই গেছে। এবারও পারবে না। নির্বাচন ঠেকানোর সাধ্য কারো নেই। মেসি গোল দিতে পারেনি। নেইমার পড়ে যায়। শেখ হাসিনা পড়ে যাননা গোলও মিস করেন না। ডিসেম্বরে ফাইনাল খেলা হবে। খালেদা জিয়া দুর্নীতি করেছেন। আদালত তাকে জেল দিয়েছে। মাঠ ছেড়ে পালাবেন না। মাঠে আসেন, খেলে যান। অন্যভাবে ক্ষমতায় যাবার চেষ্টা করবেন না।
সংবিধান অনুযায়ী ডিসেম্বরে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে, কেউ ঠেকাতে পারবে না। স্বাধীন নির্বাচন কমিশন নিরপেক্ষ নির্বাচনের আয়োজন করবে। নির্বাচন বানচালের চেষ্টা করে কোন লাভ হবে না। জ্বালাও পোড়াও করেও কেউ পার পাবে না। নির্বাচনী মাঠে আসুন। মাঠে খেলা হবে।
মন্ত্রী গতকাল মৌলভীবাজারের জুড়ী উপজেলার নবনির্মিত ৫০ শয্যা বিশিষ্ট স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স উদ্বোধন শেষে এক এক সুধী সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
এলাকাবাসীর দাবির প্রেক্ষিতে নাসিম বলেন, আগামী নির্বাচনের আগে মৌলভীবাজারে মেডিকেল কলেজ এর কাজ শুরু হবে। ২৫০ শয্যা হাসপাতালে আইসিইউ ও সিসিইউ স্থাপন হবে। জুড়ী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এ্যাম্বুলেন্স, পর্যাপ্ত চিকিৎসকসহ চিকিৎসার প্রয়োজনীয় সামগ্রী সরবরাহ করা হবে।
স্বাস্থ্য মন্ত্রী জনসভায় উপস্থিত জনতার উদ্দেশ্যে বলেন, বিগত নির্বাচনে শেখ হাসিনা ক্ষমতায় আসায় আপনারা উন্নয়ন পাচ্ছেন। এখন ভোটের মাধ্যমে তা ফেরত দেওয়ার পালা। গত দশ বছরে শেখ হাসিনা বাংলাদেশকে অনেক দিয়েছেন। শোককে বুকে ধারণ করে একাত্তরের ঘাতক দালালদের বিচার করেছেন। বিগত কোন সরকারই এদের বিচার করে নাই। এত কিছুর পরও বর্তমান প্রধানমন্ত্রী দেশের উন্নয়ন অব্যাহত রেখেছেন। যার ফলে দু’মুঠো ভাত খেয়ে মানুষ সুখে আছে। খাদ্যে প্রবৃদ্ধি বেড়েছে। মায়ের মমতা নিয়ে শেখ হাসিনা উন্নয়ন করে যাচ্ছেন। ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ পৌঁছে গেছে। জনগণের দোরগড়ায় স্বাস্থ্য সেবা পৌঁছে দিতে নতুন নতুন কমিনিউটি ক্লিনিক হচ্ছে। সে ধারাবাহিকতায় আরো ৭ হাজার ডাক্তার নিয়োগ হবে। জুড়ীতেও কমিউনিটি ক্লিনিক হবে।
তিনি বলেন, আমার মেয়াদকালীন সময়ে জুড়ী ও বড়লেখা হাসপাতালের ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন ও উদ্বোধন হল।’
জাতীয় সংসদের হুইপ ও স্থানীয় সংসদ সদস্য মো. শাহাব উদ্দিনের সভাপতিত্বে এবং জুড়ী উপজেলা আ’লীগ নেতা জাহাঙ্গীর আলম, যুবলীগ নেতা রিংকু রঞ্জন দাস ও শেখরুল ইসলামের যৌথ সঞ্চালনায় জুড়ী হাসপাতাল প্রাঙ্গণে অনুষ্ঠিত সমাবেশে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন- মৌলভীবাজার-২ আসনের সংসদ সদস্য আব্দুল মতিন, মৌলভীবাজার জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মুক্তিযোদ্ধা আজিজুর রহমান।
অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব বাবুল কুমার সাহা, স্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলী ব্রি. জেনারেল এম.এ মুহিত, মৌলভীবাজার জেলা প্রশাসক মো.তোফায়েল ইসলাম, জেলা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ শাহজালাল, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি নেছার আহমদ, সাধারণ সম্পাদক মিছবাউর রহমান, মৌলভীবাজার পৌরসভার মেয়র ফজলুর রহমান, বড়লেখা উপজেলা চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম, জুড়ী উপজেলা চেয়ারম্যান গুলশানা আরা মিলি, কুলাউড়া উপজেলা চেয়ারম্যান আসম কামরুল ইসলাম, জুড়ী উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. মহিউদ্দিন আহমদ।
এদিকে স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম এমপি, বিকেলে বড়লেখা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ৩১ শয্যা থেকে ৫০ শয্যায় সম্প্রসারিত নবনির্মিত হাসপাতাল ভবনের উদ্বোধন করেন।