দৈনিক কাজির বাজার পত্রিকায় এ সংবাদ প্রকাশের পর ॥ প্রশাসনের অভিযানে জাফলংয়ে পাথর উত্তোলনের অবৈধ গর্ত ভরাট শুরু, মালিকদের বিরুদ্ধে মামলার প্রস্তুতি

789

কে.এম.লিমন গোয়াইনঘাট থেকে :
দৈনিক কাজির বাজার পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশের পর গোয়াইনঘাট উপজেলার জাফলংয়ের জুম পার ও মন্দিরের জুম এলাকায় অবৈধভাবে পাথর উত্তোলনের গর্ত ভরাটের কাজ শুরু করেছে উপজেলা প্রশাসন। মঙ্গলবার গোয়াইনঘাটের ইউএনও’র নেতৃত্বে তাৎক্ষণিক অভিযানে ১২টি পেলোডার মেশিন দিয়ে এক যোগে ভরাট কাজ শুরু করা হয়। অভিযানে পান সুপারি বাগান ধ্বংস করে অবৈধ পন্থায় গর্ত থেকে উত্তোলিত প্রায় সাড়ে চার হাজার ঘনফুট পাথর জব্দ করে প্রশাসনিক কর্মকর্তারা। পরে জব্দকৃত পাথর উন্মুক্ত নিলামের মাধ্যমে ২লাখ টাকায় বিক্রি করে ৪০হাজার টাকা ভ্যাটসহ সরকারের কোষাগারে জমা দেওয়া হয়েছে। একই সাথে গর্তের মালিকদের নামের তালিকা তৈরি করে প্রশাসনের পক্ষ থেকে মামলা দায়েরের প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন খনিজ সম্পদ উন্নয়ন ব্যুরো ঢাকার সহকারী পরিচালক মোহাম্মদ আলমগীর কবির, মোহাম্মদ মাহফুজুর রহমান, গোয়াইনঘাট থানার ওসি (তদন্ত) হিল্লোল রায় প্রমুখ।
এ বিষয়ে গোয়াইনঘাটের উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বিশ^জিত কুমার পাল বলেন প্রশাসনের উদ্যোগে মন্দিরের জুম এলাকায় পাথর উত্তোলনের গর্ত ভরাট কাজ শুরু হয়েছে। এসব গর্ত থেকে উত্তোলিত পাথর জব্দ করে নিলামে বিক্রিয়ের পাশাপাশি গর্ত মালিকদের বিরুদ্ধে প্রশাসনের পক্ষ থেকে মামলার প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, গত ২ জানুয়ারি মন্দিরের জুম এলাকায় অবৈধভাবে পাথর উত্তোলনের সময় গর্তের পার ধসে পাঁচ শ্রমিক নিহত হওয়ার পর জেলা ও উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে গর্ত ভরাটের জন্য চারদিনের আল্টিমেটাম দেওয়া হয়েছিল। প্রশাসনের বেঁধে দেওয়া সময় শেষ হয়ে গেলেও গত সোমবার পর্যন্ত একটি গর্তও ভারাট করা হয়নি।
গত সোমবার দৈনিক কাজিরবাজার পত্রিকায় শেষ পৃষ্ঠায় প্রশাসনের বেঁধে দেওয়া সময় পেরিয়ে গেলেও ভরাট হয়নি অবৈধ পাথর উত্তোলনের গর্ত শিরোনামে একটি স্বচিত্র সংবাদ প্রকাশ হওয়ার পর গতকাল উপজেলা প্রশাসন গর্ত ভরাটের অভিযান শুরু করে।