এক সেতুতে বদলে গেল ধর্মপাশার ৩০ হাজার মানুষের জীবনচিত্র

12

সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি
খালের এপার-ওপারের দূরত্ব মাত্র ৫০ মিটার, যার ওপর দীর্ঘ সময় ধরে ঝুলছিল একটি ভাঙা সেতু। একেবারেই ব্যবহারের অনুপযুক্ত সেই সেতুর স্থলে নতুন সেতু নির্মাণ হওয়ায় ভাগ্য বদলেছে ধর্মপাশার ২০ গ্রামের প্রায় ৩০ হাজার মানুষের।
এমনটাই চোখে পড়েছে উপজেলার জয়শ্রী ইউনিয়নের বাঘাউচা ও বাদেহরিপুর গ্রামের মধ্যবর্তী উমেদ্দিয়ার খালের ওপর নির্মিত সেতুর কারণে। সেতুটি নির্মাণের ফলে ওই এলাকার অভ্যন্তরীণ যোগাযোগের চিত্র বদলে গেছে। সহজেই পরিবহন করা যাচ্ছে হাওরের ধান ও অন্যান্য পণ্য। সহজে চলাচল করছে ইজিবাইক, মোটরবাইক। স্থানীয়রা জানান, খালের দু’পাশে ছিল নামমাত্র একটি কাঁচা সড়ক। বর্ষায় তলিয়ে যেত সড়কটি। তা ছাড়া হাওরের পানি নামতে শুরু করলে কাদাপানি মাড়িয়ে স্থানীয় বাজারে যেতে হতো তাঁদের।
সম্প্রতি এলজিইডির অধীনে দু’পাশের সড়ক পাকা করার পাশাপাশি হেমলিপ প্রকল্পের অধীনে উমেদ্দিয়ার খালের ওপর ৫১ মিটার দৈর্ঘ্যরে আরসিসি গার্ডার সেতুটি নির্মিত হয়। এতে জয়শ্রী বাজারের সঙ্গে উপজেলার অন্যান্য এলাকার যোগাযোগ ব্যবস্থা সহজ হয়েছে। এ ছাড়া বাদেহরিপুর থেকে মধ্যনগর উপজেলা সদর পর্যন্ত ডুবোসড়ক নির্মাণের ফলে বিশেষভাবে জয়শ্রী-মধ্যনগর যোগাযোগ ব্যবস্থারও উন্নতি হয়েছে। স্থানীয় মোটরসাইকেলচালক সেলিম মিয়া জানান, সেতু না থাকায় মোটরসাইকেল খালের ওপারেই রাখতে হতো অথবা ভিন্ন পথ ব্যবহার করতে হতো। এখন সহজেই মোটরসাইকেল নিয়ে যাওয়া যায়। স্থানীয় কলেজশিক্ষার্থী আরাফাত হাসান ইমন জানান, আগে জয়শ্রী বাজারে যাওয়ার জন্য অনেক পথ ঘুরতে হতো। এখন আশপাশের গ্রামগুলো থেকে সরাসরি সেখানে যাওয়া যায়।
ধর্মপাশা উপজেলা এলজিইডির প্রকৌশলী মোহাম্মদ শাহাবউদ্দিন সাংবাদিকদের জানান, মাত্র ৫১ মিটার সেতুর কারণে ধর্মপাশা ও মধ্যনগর উপজেলার যোগাযোগ ব্যবস্থায় যুগান্তকারী পরিবর্তন এসেছে। এ ছাড়া হাওরে উড়াল সড়ক প্রকল্পের অধীনে কিছু কাজ চলমান। এসব প্রকল্প বাস্তবায়িত হলে হাওরের যোগাযোগ ব্যবস্থা আরও সহজতর হবে।