২৪ ঘণ্টা আগে ফ্লাইট পরিবর্তন করলে হজ্বযাত্রীদের জরিমানা দিতে হবে

37

কাজিরবাজার ডেস্ক :
এ বছর ফ্লাইটের সময় পরিবর্তন করলে হজ্বযাত্রীদের কাছ থেকে জরিমানা আদায় করবে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনস। টিকিট কেনার পর ফ্লাইটের ২৪ ঘণ্টা আগে সময় পরিবর্তন করলে ২০০ মার্কিন ডলার এবং যাত্রার ২৪ ঘণ্টার মধ্যে পরিবর্তন করলে ৩০০ মার্কিন ডলার জরিমানা আদায় করা হবে। এ ছাড়া নির্ধারিত ফ্লাইটে না গেলে টিকিটের টাকাও ফেরত দেবে না বিমান।
এ বছর ঢাকা-জেদ্দা-ঢাকা রুটে হজ্বযাত্রী পরিবহনে নিজস্ব চারটি বোয়িং ৭৭৭-৩০০ইআর উড়োজাহাজ ব্যবহার করবে বিমান। ঢাকা থেকে জেদ্দা প্রতি ফ্লাইটের উড্ডয়নকাল আনুমানিক সাত ঘণ্টা। ৪ জুলাই থেকে ৫ আগষ্ট পর্যন্ত হজযাত্রীদের সৌদি আরবে পৌঁছে দিতে ডেডিকেটেড ১৫৭ এবং শিডিউল ৩২ মোট ১৮৯টি ফ্লাইট পরিচালনা করবে বিমান। হজ শেষে দেশে ফিরিয়ে আনতে ১৪৭টি ফ্লাইট চলবে ১৭ আগষ্ট থেকে ১৫ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত।
মঙ্গলবার বিমানের উপ-মহাব্যবস্থাপক (জনসংযোগ) তাহেরা খন্দকার স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানিয়ে বলা হয়, ‘হজ্বযাত্রীরা যেকোনো ধারালো বস্তু, ছুরি, কাঁচি, নেইল কাটার, ধাতব নির্মিত দাঁত খিলন, কান পরিষ্কারক, তাবিজ ও গ্যাস জাতীয় বস্তু, এ্যারোসল এবং ১০০ মিলিলিটারের বেশি তরল পদার্থ হ্যান্ড ব্যাগেজে বহন করতে পারবেন না।’
‘এ ছাড়া কোনো প্রকার খাদ্য সামগ্রীও হজযাত্রীরা সঙ্গে নিতে পারবেন না। হজ্বযাত্রীদের মালামাল পরিবহনে স্যুটকেস অথবা ট্রলিব্যাগ ব্যবহার করতে হবে । যেকোনো অবস্থায় গোলাকৃত, দড়িবাঁধা ব্যাগ ইত্যাদি বিভিন্ন আকৃতির ব্যাগেজ গ্রহণ করবে না বিমান।’
প্রত্যেক হজ্বযাত্রী বিনামূল্যে সর্বাধিক দুটি ব্যাগে ৪৬ কেজি মালামাল এবং সর্বোচ্চ সাত কেজি মাল হ্যান্ডব্যাগে সঙ্গে নিতে পারবেন। কোনো অবস্থাতেই প্রতিটি ব্যাগের ওজন ২৩ কেজির বেশি হওয়া যাবে না। কোনো অবস্থাতেই হজ্বযাত্রীরা বিমানে পানি বহন করতে পারবেন না। তবে বিমান প্রত্যেক হজ্বযাত্রীর জন্য পাঁচ লিটার করে জমজমের পানি দেশে নিয়ে আসবে।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, হজ্বযাত্রীরা চাইলে ওয়ানওয়েতে ১০০ ডলার এবং রিটার্ন যাত্রায় ২০০ ডলার দিয়ে ইকনোমি ক্লাস থেকে বিজনেস ক্লাসে আসন পরিবর্তন নিতে পারবেন। তবে বিজনেস ক্লাসে আসন ছাড়া পৃথক কোনো খাবার বা সুবিধা দেওয়া হবে না।
প্রসঙ্গত, বাংলাদেশ থেকে এ বছর এক লাখ ২৭ হাজার ১৯৮ জন হজ্বযাত্রী পবিত্র হজ্ব পালনে সৌদি আরব যাবেন। এ বছর বিমানের ফ্লাইটে বিমানে যাবেন ৬৩ হাজার ৫৯৯ জন হজ্বযাত্রী। এর মধ্যে সরকারি ব্যবস্থাপনায় যাবেন সাত হাজার ১৯৮ জন। অবশিষ্ট হজ্বযাত্রী যাবেন বেসরকারি ব্যবস্থাপনায়।