জন্মদিনে ফুলেল শুভেচ্ছায় সিক্ত হলেন রণজিত দাস ॥ ফুটবলের দৈন্যদশায় হতাশ তিনি

34

৮৬তম জন্মদিনে ভক্ত অনুরাগীদের ভালোবাসায় সিক্ত হলেন দেশের ফুটবল ও হকির জীবন্ত কিংবদন্তি খেলোয়াড় রণজিত দাস। জাতীয় ক্রীড়া পুরস্কারপ্রাপ্ত সিলেটের কৃতিসন্তান ফুটবলার ৫০ দশকে সমান তালে ফুটবল ও হকিতে মাঠ মাতিয়েছেন। এই কৃতি খেলোয়াড়কে দেশের সর্বোচ্চ সম্মাননা পুরস্কার দিতে সরকারের প্রতি আহবান জানান জন্মদিনে শুভেচ্ছা জানাতে আশা ক্রীড়ামোদীরা। গতকাল রবিবার বিকেলে রণজিত দাসকে বাসায় গিয়ে শুভেচ্ছা জানান সিলেট সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী, সিলেট প্রেসক্লাবের সভাপতি ইকরামুল কবির, সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রশিদ রেনু, সিলেট চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ড্রাস্টির পরিচালক মুকির হোসেন চৌধুরী, লোকসংস্কৃতি গবেষক সুমনকুমার দাশ, নাট্যসংগঠক হুমায়ূন কবীর জুয়েল, সিলেট ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির সহকারী অধ্যাপক প্রণবকান্তি দেব, মইনুদ্দিন আদর্শ মহিলা কলেজের প্রভাষক মো. আলমগীর হোসেন, নাট্যকার মোস্তাক আহমদ, ফটো সাংবাদিক ইমরান ও মামুন হোসেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন রণজিত দাসের মেয়ে রীমা দাস, ছেলে রাজীব দাস।
জন্মদিনে দেশের ক্রীড়াঙ্গনের সার্বিক চিত্র নিয়ে হতাশা ব্যক্ত করেন ফুটবল ও হকির কিংবদন্তি খেলোয়াড় রণজিত দাস। বিশেষ করে ফুটবলের দৈন্যদশায় ক্ষোভ প্রকাশ করেন তিনি। রণজিত দাস মনে করেন খেলোয়াড়দের স্কিল আছে কিন্তু স্টেমিনা নেই। এই জায়গায় কাজ করতে হবে। দেশব্যাপী প্রতিভাবান খেলোয়াড় রয়েছে। এদেরকে বাছাই করে বের করে আনতে হবে। ক্ষুদে শিশুদের প্রতিভা অনুযায়য় প্রশিক্ষণ দিয়ে তাদের গড়ে তুলতে পারলে ক্রীড়াঙ্গনের এই হতাশা থাকবে না বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন। স্থানীয় ফুটবল লীগ নিয়মিত করার পরামর্শ দেন তিনি। তিনি বলেন, সিলেটের ফুটবলের উন্নয়নে সিটি কর্পোরেশন মেয়রকাপ ফুটবল চালু করতে পারে। যে টুর্ণামেন্টে নগরীর প্রতিটি ওয়ার্ড নিজস্ব খেলোয়াড় দিয়ে দল গড়বে। বাইরের কোন খেলোয়াড় নেয়া যাবেনা। স্থানীয়ভাবে প্রতিযোগিতামূলক টুর্ণামেন্ট যত বেশি হবে, তত বেশি খেলোয়াড় বেরিয়ে আসবে। বিজ্ঞপ্তি