কোম্পানীগঞ্জে পাথর শ্রমিকদের সমাবেশ ॥ সাত দিনের মধ্যে শ্রমিকদের পেটে ভাত দেওয়ার ব্যবস্থা না করলে অবরোধ সহ কঠোর কর্মসূচি

44

দীর্ঘ তিনটি বছর ধরে অনাহারে অর্ধাহারে থাকা কোম্পানীগঞ্জের হাজার হাজার পাথর শ্রমিক অবশেষে আন্দোলনে রাস্তায় নেমে এসেছে। তারা রবিবার বিকেলে স্থানীয় পাড়–য়া বাজারে বিক্ষোভ সমাবেশ করে প্রশাসনের প্রতি সাত দিনের আল্টিমেটাম ছুড়ে দিয়েছেন। যদি সাত দিনের মধ্যে পাথর শ্রমিকদের দাবী ও পেটে ভাত দেওয়ার ব্যবস্থা করে না দেওয়া হয়, তাহলে অবরোধ’সহ কঠোর কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে বলে সমাবেশে বক্তারা হুঁশিয়ারী উচ্চারণ করেন।
রবিবার পাড়–য়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে বৃহত্তর কোম্পানীগঞ্জের পশ্চিম ইসলামপুর ইউনিয়ন বারকি শ্রমিক কল্যাণ সংগঠন, ভোলাগঞ্জ কোয়ারী পাথর উত্তোলনকারী বহুমুখি সমবায় সমিতি, পাড়–য়া পাথর ব্যবসায়ী সমিতি, ধলাইনদী ১০ নং সাইট পাথর ব্যবসায়ী সমবায় সমিতি ও কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা ট্রাক্টর মালিক সমিতি আয়োজন করে এ প্রতিবাদ সমাবেশের।
পূর্ব ইসলামপুর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি মুল্লুক হোসেনের সভাপতিত্বে ও পশ্চিম ইসলামপুর ইউনিয়ন শ্রমিকলীগের সভাপতি আশরাফুল ইসলাম চান মিয়ার পরিচালনায় শ্রমিক সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন কোম্পানীগঞ্জের বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ও পশ্চিম ইসলামপুর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি হাজী শামীম আহমদ।
প্রধান অতিথির বক্তব্য তিনি বলেন, বিগত তিন বছর ধরে স্থায়ী ভাবে কোম্পানীগঞ্জে পাথর উত্তোলন বন্ধ করে দেওয়ায় প্রায় অর্ধ লক্ষ শ্রমিক অনাহারে-অর্ধাহারে জীবন যাপন করে আসছে। কিন্তু স্থানীয় প্রশাসন তাদের পছন্দের লোকজন দিয়ে কোয়ারী চালু করে রমরমা বাণিজ্য ও নিরব চাঁদাবাজি করে যাচ্ছেন। শ্রমিকরা সনাতন পদ্ধতিতে পাথর উত্তোলন করলেও চাঁদাবাজি, নানাভাবে হয়রানী ও নির্যাতনের শিকার হচ্ছেন। বর্তমানে শ্রমিকরা মনবেতর জীবন যাপন করছে। তাই সীমান্তের ২শ গজ বাহিরে পাথর উত্তোলন করার সুযোগ করে দিতে বিজিবির সেক্টর কমান্ডার ও অধিনায়কের প্রতি অনুরোধ জানান। তিনি বলেন, সনাতন পদ্ধতিতে পাথর কোয়ারী চালু করার সুযোগ করে না দিলে এক সপ্তাহ পর অবরোধ’সহ কঠোর কর্মসূচি গ্রহণ করা হবে।
সমাবেশে প্রধান বক্তা হিসেবে বক্তব্য রাখেন, উপজেলা শ্রমিকলীগের সভাপতি আব্দুল ওয়াদুদ। বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন, উপজেলা যুবলীগের আহবায়ক হাজী আলাউদ্দিন, উপজেলা শ্রমিকলীগের সাধারণ সম্পাদক নুরুল ইসলাম, সহ সভাপতি সৈয়দুর রহমান, উত্তর রনিখাই ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ নেতা জালাল উদ্দিন, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ও সমাজসেবক আব্দুল হাসিব, উপজেলা যুবলীগের আহবায়ক কমিটির সদস্য জুয়েল আহমদ, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী আমিনুল ইসলাম, আতাউর রহমান আতাই মেম্বার, স্বেচ্ছাসেবকলীগ নেতা সাইফুল ইসলাম, তাজ উদ্দিন তাজ, রুবেল আহমদ, ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ নেতা বিল্লাল আহমদ, ইউনিয়ন যুবলীগ নেতা আলীম উদ্দিন, রফিক আহমদ, এখলাছ আলী, শ্রমিক নেতা বাবুল মিয়া, আলাউদ্দিন আলাই, আনিস মিয়া, উপজেলা ছাত্রলীগের পাঠাগার সম্পাদক ফখরুল ইসলাম নোমান প্রমুখ। বিজ্ঞপ্তি