দক্ষিণ সুরমা ও শ্রীমঙ্গলে দুই রোহিঙ্গা কিশোর আটক

55

স্টাফ রিপোর্টার :
দক্ষিণ সুরমা উপজেলার লালাবাজার থেকে এক রোহিঙ্গা কিশোরকে আটক করেছে পুলিশ। রবিবার রাত ৮টার 21979240_1689846581033911_87459807_n-copy-600x557দিকে তাকে আটক করা হয়।
দক্ষিণ সুরমা থানার ওসি খায়রুল ফজল জানান, আটক কিশোরের নাম আব্দুল আমিন (১৫)। তার বাড়ি মায়ানমারের রাখাইন রাজ্যের রেলওয়ারী উপজেলার বুজিডং গ্রামে। তার বাবার নাম আব্দুর রশিদ এবং মায়ের নাম হামিদা বেগম।
দক্ষিণ সুরমা থানায় থাকা ওই কিশোর জানায়, তিন দিন আগে কক্সবাজারের উখিয়া রোহিঙ্গা ক্যাম্প থেকে তারা ৩ কিশোর পালিয়ে ঢাকার উদ্দেশ্যে রওয়ানা দেয়। তবে দু’জন পুলিশের হাতে ধরা পড়ে। পুলিশের চোখ ফাঁকি দিয়ে সে (আব্দুল আমিন) সিলেটে চলে আসে।
আব্দুল আমিন জানায়, সে চাকরির সন্ধানে সিলেটে এসেছিল। কিন্তু চাকরি না পেয়ে সে আবার চট্টগ্রামে ফিরে যাওয়ার জন্য দক্ষিণ সুরমার লালাবাজারে ঘোরাঘুরি করছিল।
জানা যায়, আব্দুল আমিনের ঘোরাঘুরি দেখে স্থানীয়দের সন্দেহ হয়। তারা তাকে আটক করে পুলিশে খবর দেন। পরে দক্ষিণ সুরমা থানা পুলিশ তাকে থানায় নিয়ে আসে।
দক্ষিণ সুরমা থানার ওসি খায়রুল ফজল জানান, আব্দুল আমিনকে রোহিঙ্গা শরণার্থী শিবিরে পাঠানোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে।
এদিকে, কিশোর আব্দুল আমিন আরো জানিয়েছে, তার বাবা-মা ও দুই ভাই এখন মায়ানমারে রয়েছন।
অপর দিকে শ্রীমঙ্গল থেকে সংবাদদাতা জানিয়েছেন : শ্রীমঙ্গল উপজেলার মুসলিমবাগ এলাকা থেকে ১১ বছর বয়সী এক রোহিঙ্গা কিশোরকে উদ্ধার করেছে থানা পুলিশ। শিশুটির নাম জেহাদুল ইসলাম। মিয়ানমারের আরাকান রাজ্যের মংডু গ্রামের বাসিন্দা বলে শিশুটি জানিয়েছে। তার বাবার নাম জসিম উদ্দিন ও মায়ের নাম শাহিনা আক্তার।
শিশুটি জানায়, গত ৯ দিন আগে সে তার ৩ বছর বয়সী ছোট ভাইকে নিয়ে মিয়ানমার বর্ডার পার হয়ে বাংলাদেশে প্রবেশের চেষ্টা করে। এ সময় তার ভাই স্থল মাইন বিস্ফোরণে আহত হয়। পরে তার কাছ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে নাফ নদী পার হয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করে। এর আগে মিয়ানমারের সেনারা তাদের বাড়ি জ্বালিয়ে দেয়। এসময় সেনাবাহিনীর সহযোগী মগ’রা তার বাবাকে ঘর থেকে বের করে নিয়ে গুলি করে এবং মাকে জবাই করে হত্যা করে।
পাজামা পাঞ্জাবি ও মাথায় সাদা টুপি পরিহিত জেহাদুল পুলিশকে জানায়, তার ইচ্ছে ছিল কোরআনে হাফেজ হওয়ার। মংডুর এক মাদ্রাসায় সে ৩য় শ্রেণীতে পড়ত। মগরা সেই মাদ্রাসাটাও আগুনে পুড়িয়ে দেয়।
শ্রীমঙ্গল থানার ওসি কেএম নজরুল বলেন, গত মঙ্গলবার সে সহ আরো ২০/২২ জন রোহিঙ্গা সিলেটে মাজার জিয়ারত করতে চট্টগ্রাম থেকে ট্রেনে উঠে। ফেনী রেল স্টেশনে পুলিশ বাকিদের নামিয়ে নিলেও ট্রেনের আসনে বসে থাকায় তাকে কেউ কিছু বলেনি। এসময় শহীদ মিয়া নামে শ্রীমঙ্গলের এক যাত্রী তাকে শ্রীমঙ্গল নামিয়ে তার বাসায় নিয়ে যায়। রবিবার দুপুরে বাড়ির লোকজন পুলিশে খবর দিলে পুলিশ জিহাদকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে।
উদ্ধারকৃত জিহাদকে কক্সবাজার শরণার্থী শিবিরে পাঠানোর প্রক্রিয়া চলছে বলে ওসি কেএম নজরুল জানিয়েছেন।