খোশ আমদেদ মাহে রমজান

138

কাজিরবাজার ডেস্ক :
আজ তৃতীয় রমজানুল মোবারক ১৪৩৯ হিজরী। মাহে রমজানের আগমনে আমাদের চতুর্দিকে এক স্নিগ্ধ প্রশান্তি বেহেশতি বাতাস বইতে থাকে। আর আল্লাহপাকের পক্ষ থেকে রোজাদারদের ওপর মেঘের বর্ষণের ন্যায় রহমত নাজিল হতে থাকে এবং প্রকৃত রোজাদারের জন্য আল্লাহর পক্ষ থেকে কয়েকটি পুরস্কার রয়েছে। বেহেশতের আটটি দরজা তন্মধ্যে একটির নাম রাইয়ান (তৃপ্তি)। এই দরজা দিয়ে বেহেশতে প্রবেশ করার সৌভাগ্য লাভ করবেন একমাত্র রোজাদারগণ। প্রত্যেক রোজাদারের জন্য দুটি আনন্দ রয়েছে। একটি ইফতারের সময় এবং অপরটি হলো আল্লাহপাকের দিদার লাভ। রোজাদারের পূর্ববর্তী : সমস্ত গোনা মাফ হয়ে যায়। রোজাদারদের মুখের গন্ধ আল্লাহ পাকের নিকট মিশক (কস্তুরী হতেও সুগন্ধময় ও মনোরম। রোজাদারের নিদ্রা ও ইবাদত এবং তার পক্ষে চুপ থাকা তছবীহস্বরূপ গণ্য হবে।
মহানবী (সাঃ) বলেন যে, বনী আদমের প্রতিটি নেক কাজের সওয়াব দশ হতে সাতাশ গুণ পর্যন্ত বৃদ্ধি করে দেয়া হয়। কিন্তু আল্লাহপাক বলেন, রোজার বেলায় এ রকম নয়, কেননা রোজা খাছ আমার জন্য, রোজাদার কেবল আমাকে খুশির জন্য কামনা বাসনা ও পানাহার ত্যাগ করে রোজা রাখে। সেজন্য আমি নিজেই এর প্রতিদান দেব, হযরত সালমান ফারসী (রাঃ) হতে বর্ণিত যে, মহানবী (সাঃ) শাবান মাসের শেষ তারিখে আমাদের নছিহত করেছেন যে, তোমাদের মাঝে মোবারক মাস রমজান ছায়াস্বরূপ আসছে, যার মধ্যে লাইলাতুল ক্বদর নামে একটি রাত আছে যা হাজার মাস হতে উত্তম। আল্লাহতায়ালা তোমাদের ওপর রোজা ফরজ করেছেন এবং রাত্রি জাগরণ অর্থাৎ তারাবীহ পড়াকে তোমাদের জন্য পুণ্যের কাজ করে দিয়েছেন। যে ব্যক্তি এ মাসে নফল আদায় করল সে যেন রমজানের বাইরে একটি ফরজ আদায় করল যে ব্যক্তি এ মাসে একটি ফরজ আদায় করলো সে যেন অন্য মাসে সত্তরটি ফরজ আদায় করলো।