কমলগঞ্জ থেকে সংবাদদাতা :
মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ পৌর এলাকার ভানুগাছ বাজারে একই রাতে ৮টি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে চুরি সংঘঠিত হয়েছে। সংঘবদ্ধ চোরদল ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের চালার টিন খুলে ৮ ব্যবসা প্রতিষ্ঠান থেকে স্বর্ণালংকার, নগদ টাকা, মোবাইল ও ডিজিটাল ক্যামেরা সহ প্রায় ৫ লাখ টাকার মালামাল লুটে নেয়।
ভানুগাছ চৌমুহনা এলাকার নিলু ষ্টোরের মালিক নিলু পাল চৌধুরী জানান, প্রতিদিনের মত তিনি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে রাত দেড়টায় বাড়িতে যান। সকালে এসে দেখেন চালার টিন খুলে চোরদল দোকানে প্রবেশ করে ক্যাশবাক্সে রক্ষিত নগদ প্রায় ২০ হাজার নেই। এছাড়া ক্যাশবাক্সটিও খোলা ছিল। ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীরা জানান, মঙ্গলবার গভীর রাতে কোন এক সময় ভানুগাছ বাজারের ব্যস্ততম এলাকা চৌমুহনা চত্বরের এসব দোকানের চালার টিন খুলে চোরদল দোকানে প্রবেশ করে চুরি সংগঠিত করে। ভানুগাছে বাজারে নৈশ্য প্রহরীর থাকার পরও চোরদল টিন খুলে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান গুলোর কাঠের ও বাঁশের ছাদ ভেঙ্গে সালাম ভেরাইটিজ ষ্টোর থেকে নগদ ১৬শ টাকা, গৌরাঙ্গ স্টোর থেকে নগদ ৩৭ হাজার টাকা, আপন জুয়েলার্স থেকে নগদ সাড়ে ১৩হাজার টাকা, ২ভরি স্বর্ণালংকার, ৪৫ ভরি রোপার মালামাল, নিলু ষ্টোর থেকে নগদ প্রায় ২০ হাজার টাকা, পুষ্পিতা জুয়েলার্স থেকে নগদ ৫শ, ১ভরি স্বর্ণালংকার, ৩০ ভরি রোপার মালামাল ও ১টি ডিজিট্যাল ক্যামেরা, বিসমিল্লাহ্ এন্টারপ্রাইজ থেকে নগদ সাড়ে ৩ হাজার টাকা, ৪০পিস গ্রামীণ মোবাইলের সিম, ২টা মোবাইল সেট, বিলাস হেয়ার ড্রেসার থেকে নগদ ১২ হাজার টাকাসহ প্রায় ৫লাখ টাকার মালামাল নিয়ে যায়। এছাড়া এসব ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের মালিক জুবায়ের আহমদ সুয়েবের অফিস কক্ষ থেকে ১টি ভিডিও ক্যামেরা নিয়ে যায় চোরদল। বুধবার সকালে স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, ভানুগাছ পৌর বাজার বণিক সমিতির নেতৃবৃন্দ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। ভানুগাছ বাজারে পাহারাদার থাকা সত্বেও ঘন ঘন চুরির ঘটনায় ব্যবসায়ীরা উদ্বিগ্ন ও আতংকগ্রস্ত।
এদিকে বুধবার সকাল ১০টায় কমলগঞ্জ থানার উপ-পুলিশ পরিদর্শক জাহিদুল হকের নেতৃত্বে একদল পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। পুলিশ জানায়, বাজার ব্যবসায়ী সমিতির নেতৃবৃন্দ এ সময় বাজারের ৩ জন পাহারাদারকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য কমলগঞ্জ থানা পুলিশের হাতে তুলে দেন। পুলিশ আটককৃতদের থানায় নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করছে।
কমলগঞ্জ থানার ওসি এনামুল হক বলেন, চোরদলকে শনাক্তপূর্বক আটকের পাশাপাশি চুরিকৃত মালামাল উদ্ধারের চেষ্টা চলছে।