স্টাফ রিপোর্টার :
করোনার নতুন ধরণ ওমিক্রন ঠেকাতে সিলেট বিভাগে চলছে করোনা টিকার বুস্টার ডোজের কার্যক্রম। প্রথমে ষাটোর্ধ নাগরিক ও ষাটোর্ধ সম্মুখসারির যোদ্ধাদের দিয়ে বুস্টার ডোজ শুরু হলেও পর্যায়ক্রমে সম্মুখসারির যোদ্ধাদের জন্য বয়স শিথিল করা হয়েছে। রবিবার পর্যন্ত সিলেট বিভাগে বুস্টার ডোজ নিয়েছেন ১৫ হাজার ৮৫৬ জন।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, ৩০ ডিসেম্বর থেকে প্রথমে সিলেট মহানগর এলাকায় শুরু হয় বুস্টার ডোজের কার্যক্রম। পর্যায়ক্রমে সিলেট বিভাগের ৪টি জেলায় শুরু হয় বুস্টার ডোজ। ষাটোর্ধ নাগরিক ও সম্মুখসারির যোদ্ধা ক্যাটগরিতে নিবন্ধিত যে কেউ ২য় ডোজের টিকা গ্রহণের ৬ মাস অতিবাহিত হলে বুস্টার ডোজ নিতে পারছেন। বিভাগে বুস্টার ডোজ হিসেবে সবাইকে দেয়া হচ্ছে ফাইজারের টিকা।
স্বাস্থ্য অধিদফতর সিলেট বিভাগীয় কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, রবিবার ৯ জানুয়ারি পর্যন্ত সিলেট বিভাগে বুস্টার ডোজ নিয়েছেন প্রায় ১৬ হাজার জন। এরমধ্যে সিলেট জেলা ও মহানগর এলাকায় ২ হাজার ২২৬ জন ফাইজারের টিকার বুস্টার ডোজ নিয়েছেন। এরমধ্যে ৩৩৭ জন নিয়েছেন কোভিশিল্ডের বুস্টার ডোজ। এছাড়া সুনামগঞ্জ জেলায় বুস্টার ডোজ হিসেবে ফাইজারের টিকা নিয়েছেন ২ হাজার ১৭৩ জন। এরমধ্যে ২০ জন নিয়েছে কোভিশিল্ডের বুস্টার ডোজ। হবিগঞ্জ জেলায় ১ হাজার ৯১৮ জন ও মৌলভীবাজার জেলায় ৫ হাজার ৪৯৯ জন নিয়েছেন ফাইজারের টিকার বুস্টার ডোজ।
এ বিষয়ে স্বাস্থ্য অধিদফতর সিলেট বিভাগীয় কার্যালয়ের পরিচালক ডা: হিমাংশু লাল রায় জানান, ইতোমধ্যে শুধু মহানগর এবং জেলা শহরই নয়। বিভাগের প্রায় সকল উপজেলায় করোনা টিকার বুস্টার ডোজের কার্যক্রম শুরু হতে যাচ্ছে। ইতোমধ্যে বিভাগের অধিকাংশ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ষাটোর্ধ নাগরিক ও সম্মুখসারির যোদ্ধা এবং ২য় ডোজ নিয়েছেন কমপক্ষে ৬ মাস অতিবাহিত হয়েছে এমন সবাইকে বুস্টার ডোজ নিতে এসএমএস দেয়া হচ্ছে। আর এসএমএস এর ভিত্তিতে বুস্টার ডোজের টিকা দেয়া হচ্ছে।