স্টাফ রিপোর্টার :
নগরীতে নিত্য পণ্যের দাম লাগামহীন বেড়ে যাওয়ায় চরম সংকটে পড়েছেন নিম্নবিত্ত ও মধ্যবিত্তরা। নিত্যপণ্যের এমন দাম বেড়ে যাওয়ায় চাকুরীজীবীরা হচ্ছেন দিশেহারা। তারা বলছেন, নিত্যপণ্যের দাম বাড়লেও তাদের মাসিক বেতন বাড়েনি।
ভুক্তভোগী ক্রেতাদের অভিযোগ, বাজার মনে হয় কারও নিয়ন্ত্রণে নেই। ফলে ব্যবসায়ীরা ইচ্ছা মত দাম বাড়াচ্ছে। এমনটি হলে সাধারণ মানুষের জীবনে অন্তহীন দুর্ভোগ নেমে আসবে।
গত কয়েকদিন ধরে দুই-পাঁচ টাকা করে বাড়তেই আছে সয়াবিন তেলের দাম। এই অবস্থায় সিলেটের বাজারে ভোজ্য এই তেলটির কৃত্রিম সংকট তৈরির অভিযোগ ওঠেছে কোম্পানিগুলোর বিরুদ্ধে।
নগরীর বেশ কয়েকজন খুচরো ব্যবসায়ী অভিযোগ করে জানান, গত ৪-৫ দিন ধরে প্রায় সকল কোম্পানির সোয়াবিন তেলের বিক্রয় প্রতিনিধিরা তাদের কোম্পানিতে তেল সঙ্কট বলে জানাচ্ছেন এবং চাহিদার তোলনায় দোকানগুলোতে তেল কম দিচ্ছেন।
এদিকে ক্রেতারা বলছেন, ‘কৃত্রিম এই তেল সঙ্কটকে’ পুঁজি করে কিছু অসাধু ব্যবসায়ী বাড়িয়ে দিয়েছেন সোয়াবিন তেলের দাম। লিটার প্রতি কেউ কেউ ২ শ টাকাও নিচ্ছেন। কেউ কেউ নিচ্ছেন তার চাইতেও বেশি। এ অবস্থায় সিলেটে চরম বিপাকে পড়েছেন মধ্য থেকে নিম্ন আয়ের ও গরিব মানুষ।
জানা যায়, ৪০ টাকার পিয়াজ এখন ৫০ টাকা, চিনি এখন ৮০ টাকা, বড় দানার মসুর ডাল ১০০ টাকা, বাজারে প্রতিকেজি ৭৫ টাকার ছোলা এখন বিক্রি হচ্ছে ৮০ টাকা, প্যাকেটজাত আটা ৪৬ ও প্যাকেটজাত ময়দা ৫৫ টাকা, দেশি রসুন ৫০, আমদানি রসুন ১০০, দেশি আদা ৬০ টাকা, প্রতিকেজি শিম ও বেগুন দাম বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ৫০ থেকে ৬০ টাকা, ফুলকপি-বাঁধাকপি-শসা ৩০ থেকে ৪০ টাকা, মরিচ ৩০ থেকে ৪০, চাল কুমড়া ৪০ থেকে ৫০ টাকা, মুলা ২০ এবং গাজর-টমেটো ৪০ টাকা বিক্রি হচ্ছে। প্রতিকেজি ব্রয়লার মুরগি ১৬৫ টাকা, কক প্রতি পিছ ২৭০ ও লেয়ার মুরগি প্রতি পিছ ৪৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। গরুর মাংস প্রতি কেজি ৫৮০ থেকে ৬৫০ টাকা। শুধু তাই নয় চাউলের দামও পাল্লা দিয়ে বাড়ছে।
এদিকে, ৩ মার্চ থেকে বাড়তি দামে বিক্রি হচ্ছে এলপিজি গ্যাসও। এলপি গ্যাসের ১২ কেজির দাম ১২৪০ টাকা থেকে বাড়িয়ে ১৩৯১ টাকা করা হয়েছে। তবে রাষ্ট্রায়ত্ত কোম্পানির উৎপাদিত সাড়ে ১২ কেজি এলপিজির দাম আগের ৫৯১ টাকাই থাকছে। গত বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (বিইআরসি) গ্যাসের নতুন এই দর ঘোষণা দিয়েছে।