স্টাফ রিপোর্টার :
গুলি চালিয়ে নগরীতে শিবিরের মিছিল পন্ড করে দিয়েছে পুলিশ। গতকাল বুধবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে নগরীর শেখঘাট কাজিরবাজার ব্রীজ এলাকা থেকে শিবির কর্মীরা মিছিল বের করার চেষ্টা চালায়। এ সময় ছাত্রলীগ কর্মীরা তাদের উপর হামলা চালায়। খবর পেয়ে পুলিশও ঘটনাস্থলে এসে কয়েক রাউন্ড গুলি ছুঁড়ে তাদেরকে ছত্রভঙ্গ করে দেয়।
প্রত্যক্ষদর্শী একটি সূত্র জানায়, শিবির কর্মীরা কাজিরবাজার ব্রীজ এলাকায় টায়ার পুড়িয়ে পিকেটিংয়ের চেষ্টা চালায়। এ সময় বন্দরবাজার থেকে ছাত্রলীগের নাসির গ্র“পের একটি মিছিল ওই এলাকা অতিক্রম করছিল। ছাত্রালীগ কর্মীদের হামলার মুখে শিবির কর্মীরা দ্রুত স্থান ত্যাগ করে। পরে পুলিশও ঘটনাস্থলে ছুটে আসে। শেখঘাট শুভেচ্ছা ৩৪৮ নম্বর বাসা থেকে শিবিরকর্মী আশরাফ আহমদ ও নুরুল ইসলাম নামের দুই ব্যক্তিকে আটক করে পুলিশ। সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের এডিসি (মিডিয়া) রহমত উল্যাহ জানান, শেখঘাট কাজিরবাজার ব্রীজ এলাকায় শিবির কর্মীরা মিছিল বের করার চেষ্টা করলে পুলিশ গুলি ছুঁড়ে তাদেরকে ছত্রভঙ্গ করে দেয়।
এদিকে, জামায়াত নেতা এটিএম আজহারের ফাঁসির রায়ের প্রতিবাদে জামায়াতের ডাকা হরতালের প্রথম দিনে সড়ক অবরোধ, ঝটিকা মিছিল, বিক্ষিপ্ত সংঘর্ষ ও আটকের মধ্য দিয়ে সিলেটে হরতাল পালিত হয়। গতকাল বুধবার সকাল সাড়ে ৯টায় দক্ষিণ সুরমা উপজেলায় চন্ডিপুল নামক এলাকায় টায়ার জ্বালিয়ে ঢাকা-সিলেট মহাসড়ক অবরোধ করার চেষ্টা করে জামায়াত-শিবির নেতাকর্মীরা। তবে, কিছুক্ষণ অবস্থান করে পুলিশ আসার আগেই তারা চলে যায়। একই সময় শহরতলীর টুকেরবাজার এলাকার অনন্তপুর নামক স্থানে সিলেট-সুনামগঞ্জ সড়কে টায়ার জালিয়ে পিকেটিং করে জামায়াত-শিবিরি নেতাকর্মীরা। একই সময় নগরীর চৌকিদেখি এলাকায় কয়েকটি মোটর সাইকেল নিয়ে জামায়াত শিবির নেতা কর্মী মিছিল বের করার চেষ্টা করেন। সকাল ১০টার দিকে সিলেট-সুনামগঞ্জ সড়কের জাঙ্গাইলের ধরপুর ৩টি সিএনজি অটোরিক্সা ও একটি ট্রাক ভাংচুর করে হরতাল সমর্থকরা।
এদিকে, হরতালে পিকেটিংয়ের অভিযোগে সদর উপজেলার বলাউরা, ধনপুর ও সংলগ্ন এলাকা থেকে দুই সহোদর, পিতা-পুত্র ও প্রবাসীসহ ৫ জনকে আটক করেছে পুলিশ। তারা হচ্ছেন-ধনপুর গ্রামের খলিল আহমদের দুই পুত্র জাবেদ হোসেন (২০) ও মমিন মিয়া (২৪), একই এলাকার মনির মিয়া ছেলে সৌদি প্রবাসী কুদ্দুস মিয়া(৩০) এবং জুগিরগাঁও গ্রামের মৃত মদরিছ আলীর ছেলে ইন্তাজ মিয়া (৪০) এবং তার পুত্র সাদ্দাম আহমদ (১৮)। কুদ্দুস মিয়া ছাড়া বাকি সবাই মুদির দোকানী বলে স্থানীয় সূত্র জানিয়েছে। জালালাবাদ থানার ওসি আক্তার হোসেন জানান, হরতালে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টির দায়ে তাদেরকে আটক করা হয়েছে।