কাজিরবাজার ডেস্ক :
আফগানিস্তানের ক্ষমতা দখলের দ্বারপ্রান্তে থাকা তালেবানের বিরুদ্ধে বিভিন্ন শহরে বিক্ষোভ হয়েছে। বুধবার জালালাবাদ, কুনার এবং খোস্ত শহরে আফগানিস্তানের জাতীয় পতাকা নিয়ে এই বিক্ষোভ হয়। জালালাবাদ শহরের বিক্ষোভে অন্তত একজন নিহত হয়েছে বলে খবর পাওয়া গেছে।
এই বিক্ষোভ দেশের অন্যত্র ছড়িয়ে পড়বে কি না সেটা এখনই বলা যাচ্ছে না। তবে পরিস্থিতি সেখানে দ্রুত বদলাচ্ছে এবং তালেবানের মধ্যে উদ্বেগ রয়েছে বলে জানাচ্ছেন বিবিসি পশতু বিভাগের সাংবাদিকরা।
তালেবানের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে টিকে থাকা শেষ গুটিকয় এলাকার একটি পাঞ্জশির উপত্যকা থেকে ছড়ানো এক ভিডিওতে সাবেক নর্দান অ্যালায়েন্সের পতাকা উড়িয়ে মোটরবাইকের বিশাল এক বাহিনীকে যেতে দেখা গেছে। ভিডিওটির সত্যতা যাচাই করা সম্ভব হয়নি। এরা নিজেদের সাবেক ভাইস প্রেসিডেন্ট আমরুল্লাহ সালেহ-র ‘প্রতিরোধ বাহিনী’ বলে দাবি করেছে।
সালেহ গতকাল একটি অডিও বার্তায় নিজেকে অস্থায়ী প্রেসিডেন্ট হিসেবে ঘোষণা করেন।
তাজিকিস্তানে আফগান দূতাবাসের কর্মকর্তারা ইতিমধ্যে সালেহকে তাদের প্রেসিডেন্ট হিসেবে তুলে ধরে ছবি পোস্ট করেছেন। এসব ঘটনা নিয়ে তালেবান এখনো পর্যন্ত কোনো মন্তব্য করেনি।
বিবিসির পশতু বিভাগ খবর দিচ্ছে যে, জালালাবাদ, কুনার এবং খোস্ত শহরেও আফগানিস্তানের জাতীয় পতাকা নিয়ে বিক্ষোভ হয়েছে।
নানগারহার প্রদেশের জালালাবাদ শহরের নিয়ন্ত্রণ তালেবান গ্রহণ করে রবিবার সকালের দিকে। বিনা লড়াইয়ে শহরটি দখল করে তালেবান। এর মধ্যে দিয়ে তালেবান, আফগানিস্তান ও পাকিস্তান সংযোগকারী গুরুত্বপূর্ণ সড়কগুলোরও নিয়ন্ত্রণ নেয়।
কিন্তু আজ এক ভিডিওতে ওই এলাকার এক দল মানুষকে আফগানিস্তানের পুরনো পতাকা হাতে নিয়ে মিছিল করে যেতে দেখা গেছে। মিছিলের জনতাকে ছত্রভঙ্গ করতে গুলি ছোঁড়া হয়েছে বলে খবর এসেছে।
জালালাবাদ থেকে তোলা ওই ভিডিও ফুটেজে দেখা গেছে বিক্ষোভকারীরা তালেবানের পতাকা সরিয়ে সেখানে আফগানিস্তানের পুরনো পতাকা তুলছে এবং আশপাশে সমবেত জনতা সেদিকে তাকিয়ে হর্ষধ্বনি করছে।
তালেবান নতুন ঘোষিত ইসলামিক আমিরাত অফ আফগানিস্তানের জন্য এখন পর্যন্ত যে পতাকাটি ব্যবহার করছে তাতে সাদার ওপর কালো হরফে কালেমা শাহাদাত লেখা আছে।
বিক্ষোভকারীরা কালো, লাল এবং সবুজের যে তিন রঙা পতাকা আজ মিছিলে ব্যবহার করেছে সেটি ক্ষমতাচ্যুত সরকারের প্রতিনিধিত্ব করে।
তালেবান মুখপাত্র জাবিউল্লাহ মুজাহিদ বলেছেন যে, ভবিষ্যতে দেশটির জাতীয় পতাকা কোনটি হবে তা নিয়ে এখন আলোচনা চলছে। নতুন সরকার এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে।