আদালতের কার্যক্রমের ছবি তোলায় ॥ মুছলেকা দিয়ে ছাড়া পেলেন ছাত্রলীগ কর্মী

36

স্টাফ রিপোর্টার :
আদালতের কার্যক্রম চলাকালে মোবাইলে ছবি তোলার অপরাধে মুছলেকা দিয়ে ছাড়া পেলেন ছাত্রলীগ কর্মী হোসাইন আহমেদ চৌধুরী। তিনি জকিগঞ্জ থানার নান্দিশ্রী গ্রামের এম এ সালাম চৌধুরীর পুত্র। গতকাল বুধবার সকালে এডভোকেট মইনুল ইসলামের মাধ্যমে ছাত্রলীগ কর্মী হোসাইন আহমেদ চৌধুরী সিলেট মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট ৩য় আদালতের বিচারক মোঃ আনোয়ারুল হকের আদালতে ভবিষ্যতে আমি উক্ত মোবাইল ব্যবহারে যতœবান থাকিব- এ মর্মে লিখিত অঙ্গীকার করে সাক্ষীগণের সামনে মুচলেকা দিয়ে তার ওয়ালটন মোবাইল সেটটি গ্রহণ করে। অঙ্গীকারনামায় তিনি উল্লেখ করেন ‘আদালত চলাকালীন সময় মোবাইল দ্বারা আদালত রুমে ছবি তোলার চেষ্টা করেছি। এর জন্য অনুতপ্ত ও ক্ষমা প্রার্থী।’
আদালত সূত্রে জানা গেছে, গত ২২ ডিসেম্বর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে কটুক্তি করার দায়ে সিলেট জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট এম রায়হান চৌধুরী এবং সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগ সভাপতি শামীম মোল্লা বাদি হয়ে বিএনপি নেতা তারেক রহমানকে আসামী করে সিলেট মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট ৩য় আদালতে পৃথকভাবে দু’টি দরখাস্ত মামলার দায়ের করেন। এ সময় আদালতে আসা ছাত্রলীগ কর্মীদের মধ্যে হোসাইন আহমেদ চৌধুরী তার নিজস্ব মোবাইল সেট দিয়ে আদালতের কার্যক্রমের ছবি তুলেন। তখন আদালতের বিচারক মোঃ আনোয়ারুল হক বিষয়টি আঁচ করতে পেরে হোসাইন আহমেদ চৌধুরীকে আটকের জন্য কতব্যরত পুলিশকে নির্দেশ দেন। এ সময় পুলিশ মোবাইল সেটসহ তাকে আটক করে এজলাসে নিয়ে যান। ওই সময় আওয়ামীলীগের কয়েকজন আইনজীবী মুচলেকা দিয়ে হোসাইন আহমেদ চৌধুরীকে তাৎক্ষণিক ছাড়িয়ে নিয়ে যান। পরে আদালত জব্দকৃত মোবাইলসেট থেকে আদালতের কার্যক্রমের ধারণকৃত ছবি ডিলেট করেন। গতকাল বুধবার ছাত্রলীগ কর্মী হোসাইন আহমদ চৌধুরী আদালতে উপস্থিত হয়ে লিখিত মুছলেকা দিয়ে তার মোবাইল সেটটি নিয়ে যান।