স্টাফ রিপোর্টার :
দক্ষিণ সুরমা কদমতলী বাস টার্মিনাল থেকে আপন বড় ভাইকে অপহরণ করতে গিয়ে পুলিশের হাতে দুই সহযোগীসহ ছোট ভাই আটক হয়েছে। গত শনিবার রাত ২টার দিকে তাদের আটক করা হয়। পরে তারা এ ঘটনায় সিলেট মেট্রোপলিটন (আমলী-৫)’র আদালতের বিচারক মোঃ আনোয়ারুল হকের আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী দেয়। পরে আদালতের নির্দেশে তাদের জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে। আটককৃতরা হচ্ছে-মোগলাবাজার থানার আসামপুর গ্রামের মৃত মোহাম্মদ আলীর পুত্র আব্দুল মালেক (২৪), বালাগঞ্জ থানার আনোয়ারপুর গ্রামের মৃত মুখলেছ আলীর পুত্র মোঃ গিয়াস উদ্দিন (২৬) ও অপহরণের শিকার মোঃ আল আমিনের ছোট ভাই সিলেটের কোম্পানীগঞ্জ থানার দক্ষিণ ইসলামপুরের আমিনুল হকের পুত্র মোঃ মোস্তফা (২৩)।
আল আমিন জানান, কোম্পানীগঞ্জ থানার টুকেরবাজারে তার ভুষিমালের দোকান রয়েছে। এই দোকান থেকে তিনি পাইকারী দরে বিভিন্ন দোকানে মালামাল সরবরাহ করেন। একদিন পর পর তাকে মালামাল আনতে ভৈরব যেতে হয়। তার আপন ছোট ভাই মোঃ মোস্তফা বখাটে হওয়ায় তার বাবা বাড়ী থেকে তাকে তাড়িয়ে দিয়েছেন। এরপরও আল আমিন মাঝে মধ্যে টাকা পয়সা দিয়ে সাহায্য করেন মোস্তফাকে। তিনি ভৈরব যাওয়ার জন্য নিজ এলাকা থেকে গত শনিবার রাত ১২টার দিকে এম আর পরিবহনে সিলেটের কদমতলী বাস টার্মিনালে আসেন। টার্মিনালে গাড়ী আধা ঘণ্টার যাত্রা বিরতির করে এ সময় তিনি গাড়ী থেকে নেমে পাশের দোকানে মোবাইলে ফ্লেক্সিলোড দিতে যান। হঠাৎ আগে থেকে ওৎপেতে থাকা আব্দুল মালেক, গিয়াস উদ্দিন, সুমন ও মোস্তফা তাকে টেনে হেঁচড়ে তাদের ভাড়া করা মাইক্রোবাসে তুলে নেয়ার চেষ্টা করে। এ সময় আল আমিনের চিৎকার শুনে আশেপাশে থাকা দক্ষিণ সুরমা ফাঁড়ির পুলিশ ও শ্রমিকরা অপহরণকারীদের ধাওয়া করে ২জনকে আটক করে। অবস্থা বেগতিক দেখে মোস্তফা ও সুমন গাড়ী নিয়ে পালিয়ে যায়। পরে গতকাল রবিবার সকালে পুলিশ নগরীর ঘাসিটুলা এলাকা থেকে মোস্তফাকে গ্রেফতার করে। এ ঘটনায় আল আমিন বাদি হয়ে ধৃতসহ ৬ জনের বিরুদ্ধে দক্ষিণ সুরমা থানায় একটি অপহরণ মামলা দায়ের করেন। নং-২৭ (৩০-১১-১৪)।
এ ব্যাপারে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা দক্ষিণ সুরমা ফাঁড়ির ইনচার্জ এসআই শফিকুল ইসলাম খাঁন জানান, ঘটনাটি পূর্ব পরিকল্পিত। আল আমিনকে অপহরণ করার জন্য একদিন আগে তার মোবাইল ফোনে অপরিচিত একটি নাম্বার থেকে ফোন আসে। ওই ফোনটি করা হয় আল আমিন ভৈরব যাচ্ছে কি না তা নিশ্চিত হওয়ার জন্য। গতকাল উল্লেখিত ৩ ধৃত আসামীরা সিলেট আদালতে ফৌজদারী কার্যবিধির ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী শেষে গতকাল রাতে আদালতের নির্দেশে তাদেরকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।