স্টাফ রিপোর্টার :
দক্ষিণ সুরমায় পুলিশ অভিযান চালিয়ে গুলি ও কার্তুজসহ বিপুল পরিমাণ মালামাল উদ্ধারসহ গ্রেফতারকৃত ২ ছাত্রলীগ ক্যাডার ও কুখ্যাত ছিনতাইকারীদের কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে। গ্রেফতারকৃতরা হচ্ছে- জকিগঞ্জ থানার পিয়াইপুর গ্রামের মোঃ আব্দুর রহিমের পুত্র বর্তমানে পাঠানপাড়া নুরুল ইসলাম চৌধুরী বিপ্লবের বাসার বাসিন্দা কুখ্যাত ছিনতাইকারী নজরুল ইসলাম ওরফে রাসেল (২৪) ও তার সহযোগী গোয়াইনঘাট থানার বরইতলা গ্রামের মৃত নিজাম উদ্দিনের পুত্র বর্তমানে একই এলাকার বাসিন্দা ছিনতাইকারী ফয়সল আহমেদ ওরফে কয়েস (২৬)। গ্রেফতারকৃত রাসেল ও কয়েস ছাত্রলীগের নাসির গ্র“পের কর্মী বলে একটি সূত্র জানিয়েছে।
গতকাল রবিবার পুলিশ গ্রেফতারকৃতদের আদালতে হাজির করে। পরে আদালত তাদেরকে কারাগারে প্রেরণের নির্দেশ দেন।
পুলিশ জানায়, গত শনিবার রাত সাড়ে ৮ টার দিকে মোগলাবাজার থানা পুলিশের একটি দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে দক্ষিণ সুরমা আলমপুর এলাকায় অভিযান চালিয়ে কুখ্যাত ছিনতাইকারী ফয়সল আহমেদ ওরফে কয়েসকে গ্রেফতার করে। কয়েস গ্রেফতারের খবর পেয়ে তার সহযোগী নজরুল ইসলাম ওরফে রাসেল (সিলেট-ল-১১-১৯১৫) নং মোটর সাইকেল যোগে আলমপুরে যান। এ সময় কয়েসকে পুলিশের কাছ থেকে ছিনিয়ে নেয়ার চেষ্টা চালায়। তখন পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে ও তার মোটর সাইকেল ও মোবাইলফোন জব্দ করে। পুলিশ এ সময় তার মোবাইলফোন সার্চ করে দেখতে পায় অজ্ঞাতনামা সহযোগীসহ একজন অজ্ঞাতনামা যুবককে মুখে কসটেপ আটকিয়ে উলঙ্গ করে নির্মমভাবে মারপিট করার দৃশ্যে পুলিশ তাদেরকে নিয়ে বর্তমান পাঠানপাড়ার বাসায় অভিযান চালায়। এ সময় তাদের বাসা তল্লাশি করে ১টি হলুদ রংয়ের কার্তুজ ও শর্টগানের ২ রাউন্ড গুলি, ৮ ইঞ্চি লম্বা একটি চাকু, ৭ ইঞ্জি লম্বা ১টি চাকু, ১টি কালার ল্যাপটপ, নষ্ট সিলভার ১টি ল্যাপটপ, বিভিন্ন লোকদের ৩টি পাসপোর্ট, ১টি মনিটর, ১টি সিপিইউ, ২টি ইউসিসি ব্যাংকের চেক বহি, ২টি ট্রাস্ট ব্যাংকের চেক বহি, ১৫টি মোবাইল সিমকার্ড, ও ৩টি মোবাইলসেট উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়। গ্রেফতারের খবর ছাত্রলীগের নাসির গ্র“পের মধ্যে ছড়িয়ে পড়লে বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মী মোগলাবাজার থানায় ছুটে যান। কিন্তু গ্রেফতারকৃতদের ছাড়িয়ে আনতে ব্যর্থ হয়ে তারা আবার ফিরে আসেন। এ ঘটনায় মোগলাবাজার থানার এসআই আব্দুস সালাম বাদি হয়ে তাদের বিরুদ্ধে একটি অস্ত্র মামলা দায়ের করেন। নং- ১২ (২৯-১১-১৪)।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা মোগলাবাজার থানার উপ পুলিশ পরিদর্শক (এসআই) জিএম কামরুজ্জামান জানান, গ্রেফতারকৃতদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আসামী রাসেল স্বীকার করে জানায়, উল্লেখিত আলামত গুলি সে ও তার সহযোগী কয়েসসহ অজ্ঞাতনামা অপরাপর সহযোগীদের সহায়তায় দক্ষিণ সুরমা ও নগরীর বিভিন্ন স্থানে অপরাধ মূলক কর্মকান্ড করে সংগ্রহ করা আলামতগুলো নিজ রুমে রাখা হয়। গ্রেফতারকৃত রাসেল ও কয়েসকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে আদালতে রিমান্ডের আবেদন করা হচ্ছে বলে জানান তিনি।