সিলেট সিটি কর্পোরেশনের সাবেক মেয়র বদর উদ্দিন আহমদ কামরান বলেছেন, সংগীত সাধনার বিষয়। উচ্চাঙ্গ সংগীত ভালোভাবে রপ্ত করতে পারলেই সংগীত চর্চায় সাফল্য অর্জন করা সম্ভব। উচ্চাঙ্গ সংগীত চর্চার মাধ্যমে গানের ব্যাকরণকে সঠিকভাবে আয়ত্ব করা যায়। এর মাধ্যমেই সংগীত চর্চায় সর্বোচ্চ শিখরে বিচরণ করতে হবে। পাশাপাশি সংগীত চর্চাকে হৃদয় থেকে গ্রহণ করতে হবে।
সিলেট ললিতকলা একাডেমী-এর উদ্যোগে আলোচনা সভা, সনদপত্র বিতরণ ও উচ্চাঙ্গ সংগীতের অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
একাডেমির সভাপতি এডভোকেট মো. বেলাল উদ্দিনের সভাপতিত্বে গত শনিবার সিলেট জেলা পরিষদ অডিটোরিয়ামে আয়োজিত অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ বেতার, ঢাকা-এর পরিচালক ড. মির শাহ আলম, শিশু সংগঠক সাইদুর রহমান ভূইয়া, বিশিষ্ট লোকসংগীত শিল্পী জামাল উদ্দিন হোসেন বান্না, চীন আন্তর্জাতিক বেতার কেন্দ্র বাংলাদেশের মনিটর দিদারুল ইকবাল, সিলেট মহানগর আওয়ামীলীগের সাংস্কৃতিক বিষয়ক সম্পাদক প্রিন্স সদরুজ্জামান, এবং স্বাগত বক্তব্য রাখেন একাডেমির অধ্যক্ষ বিপ্রদাস ভট্টাচার্য্য।
জয়শ্রী দেব জয়ার সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে সংগীত পরিবেশন করেন নাবিহা আহমেদ, রুহিদ দত্ত চৌধুরী, অরুন্ধতী সরকার রিধি। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি সাবেক মেয়র একাডেমির সংগীত প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন। এছাড়া সাবেক মেয়র ললিতকলা একাডেমীর সার্বিক উন্নয়ন এবং অগ্রযাত্রায় সহযোগিতা আশ^াস প্রদান করেন। অনুষ্ঠানে একাডেমীর শিক্ষার্থী এবং অভিভাবকবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে ড. মির শাহ আলম বলেন, সংগীত চর্চা অনেক অবদান রাখছে সিলেট ললিতকলা একাডেমী। এটাকে এগিয়ে নেওয়ার জন্য প্রাণান্তকর প্রচেষ্টা চালাচ্ছেন বিপ্রদাস ভট্টাচার্য্য। সংগীত চর্চায় অবদানের জন্য তার মতো ব্যক্তি জাতীয় পুরস্কারে ভূষিত হওয়ার যোগ্যতা রাখেন। স্বাগত বক্তব্যে একাডেমীর অধ্যক্ষ বিপ্রদাস ভট্টাচার্য্য একাডেমীর সার্বিক উন্নয়নে এবং এর অগ্রযাত্রায় সহযোগিতা এবং পরামর্শ দানের কথা উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, সকলের সহযোগিতা পেলে একদিন একাডেমী দেশের সবচেয়ে বড় সংগীত প্রতিষ্ঠানে পরিণত হবে। বিজ্ঞপ্তি