স্টাফ রিপোর্টার :
নগরীর তাঁতীপাড়ায় মহিলা আওয়ামী লীগ নেত্রী ও সাবেক সংসদ সদস্য সৈয়দা জেবুন্নেছা হকের বাসায় বোমা হামলার বিস্ফোরক মামলায় এক টেলিভিশন সাংবাদিক ও ৩ পুলিশসহ ৫ জনের বিরুদ্ধে জামিন অযোগ্য গ্রেফতারী পরোয়ানা জারি করেছেন আদালত। গতকাল রবিবার সিলেটের বিশেষ দায়রা জজ (জননিরাপত্তা বিঘœকারী অপরাধ দমন ট্রাইব্যুনাল)’র বিচারক মোঃ মঈদুল ইসলাম জামিন অযোগ্য এ গ্রেফতারী পরোয়ানা জারি করেন। মামলায় গতকাল সাক্ষী সৈয়দ নুরুল ইসলাম ও মোঃ জয়নাল আবেদীনের সাক্ষ্য গ্র্রহণ করে আদালত আগামী ২০১৫ সালের ১৫ ফেবুয়ারী পরবর্তী সাক্ষ্য গ্রহণের তারিখ নির্ধারণ করেন।
গ্রেফতারী পরোয়ানা জারিকৃত সাক্ষীরা হচ্ছেন- বড়লেখা থানার ভোলাকান্দি গ্রামের মৃত হাকিম আলীর কন্যা বর্তমানে নগরীর তাঁতীপাড়া ২২ নং বাসার বাসিন্দা হামিদা বেগম, সিলেটের এনটিভি সাংবাদিক মঈনুল হক বুলবুল, কোতোয়ালী থানার কনষ্টেবল/৫৮৬ আব্দুল শুকুর, কনষ্টেবল/৩৭৮ শওকত হোসেন ও কনষ্টেবল/৯৪৩ এরফান আলী।
মামলার ৩২ সাক্ষীর মধ্যে এ পর্যন্ত মোট ১৩ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ সম্পন্ন হয়েছে। এর আগে গতকাল রবিবার সকালে কঠোর নিরাপত্তার মাধ্যমে পুলিশ এ মামলায় অভিযুক্ত হরকাতুল জিহাদের (হুজি) নেতা মুফতী আব্দুল হান্নান, দেলোয়ার হোসেন রিপন, মোঃ শরীফ মাজেদুল ইসলাম ওরফে বিপুল,মোঃ মফিজুল ইসলাম ওরফে অভি ওরফে মুহিব উল্লাহ ও মুফতি মঈন উদ্দিন শেখ ওরফে আবু জান্দাল ওরফে মাছুম বিল্লাহকে আদালতে হাজির করে পুলিশ। মামলার অপর আসামী হুমায়ুন কবীর হিমু বর্তমানে পলাতক রয়েছে।
উল্লেখ্য, ২০০৪ সালের ২৪ ডিসেম্বর রাত সোয়া ৮টার দিকে নগরীর তাঁতীপাড়ায় মহিলা আওয়ামী লীগের নেত্রী ও সাবেক সংসদ সদস্য সৈয়দা জেবুন্নেছা হকের বাসায় আওয়ামী লীগের নেত্রীদের নিয়ে এক সভা চলছিলো। এ সময় বোমা হামলার ঘটনা ঘটে। বোমার আঘাতে সৈয়দা জেবুন্নেছা হকসহ ৮ নেত্রী গুরুতর আহত হন। এ ঘটনায় জেবুন্নেছা হকের স্বামী এনামুল হক বাদি হয়ে অজ্ঞাত ব্যক্তিদের আসামী করে কোতয়ালী থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। নং- ৭৪ (২৪-১২-০৪)। দীর্ঘ তদন্ত শেষে সিলেট সিআইডির পুলিশ পরিদর্শক মোঃ শামীম উর রশীদ পীর উল্লেখিত হুজি নেতাদের বিরুদ্ধে ২০১১ সালের ২৬ জুলাই আদালতে এ মামলার চার্জশিট (অভিযোগপত্র) দাখিল করেন। এ মামলায় অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে আদালত ২০১৩ সালের ১২ আগষ্ট চার্জগঠন করে বিচারকার্য শুরু হয়।