নবীগঞ্জ প্রতিনিধি
নবীগঞ্জ উপজেলার সদরঘাট এলাকার একটি নতুন সেফটি ট্যাংকির ভিতর থেকে আব্দুল মুহিত (৫৩) নামে এক ব্যক্তির রক্তাক্ত দেহ উদ্ধার করেছে নবীগঞ্জের ফায়ার সর্ভিস ।
সোমবার ভোরে ৯৯৯ এ খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসে একটি টিম ঘটনাস্থলে গিয়ে রক্তাক্ত অবস্থায় আব্দুল মুহিত (৫৩)-কে উদ্ধার করে। পরে তাকে মূমূর্ষ অবস্থায় সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তার অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানা গেছে। আহত আব্দুল মুহিত (৫৩) উপজেলার গজনাইপুর ইউনিয়নের দক্ষিণ কায়স্থগ্রামের মৃত সফিক মিয়ার ছেলে পেশায় তিনি একজন সিএনজি চালক। গুরুতর আহত আব্দুল মুহিতের বরাত দিয়ে তার ভাই হাবিবুর রহমান জানান- উপজেলার দেবপাড়া ইউনিয়নের পূর্ব দেবপাড়া গ্রামের মায়েদ মিয়ার কাছে পাওনা টাকা চাওয়াকে কেন্দ্র করে গজনাইপুর ইউনিয়নের দক্ষিন কায়স্থগ্রামের মৃত সফিক মিয়ার ছেলে আব্দুল মুহিতের বিরোধ সৃষ্টি হয়। রবিবার রাত ৯টার দিকে মাদক সম্রাট মায়েদ মিয়া মোবাইল ফোনে সিএনজি চালক আব্দুল মুহিত (৫৩)-কে তার বাড়িতে ডেকে নেয়। সেখানে যাওয়ার পর মায়েদ মিয়া, তার স্ত্রী সাজনা বেগম, নুরুল আমীন, সাইফুরসহ ৪-৫ জনের একটি দল ধাড়ালো অস্ত্রসহ আব্দুল মুহিতের উপর হামলা চালায়। মুহিতের হাতে, পায়ে, মাথাসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে কুপিয়ে ক্ষতবিক্ষত করা হয়। তাদের এলোপাতাড়ি হামলায় জীবন বাচাঁতে দৌঁড়ে গিয়ে সদরঘাট দক্ষিন পাড়া এলাকার ইকবাল হোসেনের বাড়িতে নতুন নির্মিত সেফটি ট্যাংকিতে পড়ে র্ষণ আব্দুল মুহিত। এ সময় বিকট শব্দে ইকবাল হোসেনসহ আশপাশের লোকজন ঘটনাস্থলে গিয়ে ৯৯৯ নম্বারে কল দিয়ে প্রশাসনের সহযোগিতা চাওয়া হয়। খবর পেয়ে নবীগঞ্জের দমকল বাহিনীর ইনচার্জ মোঃ হাবিবুর রহমানের নেতৃত্বে একটি টিম ঘটনাস্থলে গিয়ে ট্যাংকির ভিতর থেকে রক্তাক্ত অবস্থায় মুহিত’কে উদ্ধার করে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
সেফটি ট্যাংকির মালিক ইকবাল হোসেন বলেন, প্রায় দু’বছর আগে বাড়ির সেফটি ট্যাংকি নির্মাণ করা হয়েছিল। পারিবারিক বিরোধের কারনে উপরের সø্যাব লাগানো হয়নি। কিছু বাঁশ দিয়ে ঢেকে রাখা হয়েছিল। শনিবার গভীর রাতে আব্দুল মুহিত কিভাবে ওই ট্যাংকিতে পড়ে যায়, আমরা জানি না।
নবীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. কামাল হোসেন বলেন- বিষয়টি অবগত হয়েছি, অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।