ম্যাটসদের অযৌক্তিক ৪ দফা দাবি ও স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজের ইন্টার্ন চিকিৎসক ও সাধারণ শিক্ষার্থীদের উদ্যোগে এক বিক্ষোভ ও প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। মঙ্গলবার (১১ ফেব্রæয়ারি) দুপুরে ওসমানী মেডিকেল কলেজের গোল চত্ত¡র নামক স্থানে এই বিক্ষোভ ও প্রতিবাদ সমাবেশের আয়োজন করা হয়।
বিক্ষোভ ও প্রতিবাদ সমাবেশ উপস্থিত ছিলেন, ডা. আদনান মাহমুদ তামিম, ডা. মাহমুদুল হাসান সাদিক, ডা. নাজমুল হোসাইন, ডা. ইমাদ উদ্দিন ইমন, ডা. পিয়াস, ডা. শাহনুর, ৫৮তম ব্যাচের নাহিদ আকবর খান, মিজান, তানিয়া প্রিয়া, ইশতিয়াক, আব্দুল্লাহ, হিদায়াত। এছাড়াও মেডিকেল কলেজের অন্যান্য শিক্ষার্থীরাও উপস্থিত ছিলেন।
প্রতিবাদ সমাবেশের বক্তারা বলেন, বাংলাদেশের স্বাস্থ্যখাতে দীর্ঘদিনের অব্যবস্থাপনা ও অরাজকতার কারণে সাধারণ মানুষ তাদের মৌলিক অধিকার “স্বাস্থ্যসেবা” থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। সম্প্রতি স্বাস্থ্যমন্ত্রণালয় থেকে গৃহীত কিছু সিদ্ধান্ত চিকিৎসক সমাজ গভীর উদ্বেগের সঙ্গে পর্যবেক্ষণ করেছে। এই সিদ্ধান্তগুলো দেশের স্বাস্থ্যব্যবস্থাকে ভেঙে দিতে পারে এবং অপচিকিৎসার নতুন দ্বার উন্মোচন করতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। দেশের মেডিকেল স্টুডেন্ট, ইন্টার্ন চিকিৎসক, পোস্ট-গ্রাজুয়েট ট্রেইনি চিকিৎসক, সরকারি ও বেসরকারি চিকিৎসকগণ এসব সিদ্ধান্ত নিয়ে চরম অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন। অনেকেই আশঙ্কা করছেন, এ ধরনের হঠকারী সিদ্ধান্তের পেছনে কোনো ষড়যন্ত্রমূলক শক্তির হাত থাকতে পারে, যারা চায় না যে বাংলাদেশের স্বাস্থ্যসেবা উন্নত হোক। ডিগ্রিবিহীন ব্যক্তিদের দিয়ে স্বাস্থ্যসেবা প্রদান সাধারণ জনগণকে ভুল চিকিৎসার শিকার করছে, প্রতারণার সম্মুখীন করছে এবং স্বাস্থ্যঝুঁকি বাড়াচ্ছে। এর ফলে অ্যান্টিবায়োটিক রেজিস্ট্যান্সের মতো ভয়াবহ সমস্যা সৃষ্টি হচ্ছে, যা ভবিষ্যতে দেশের জনস্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক হুমকি হয়ে উঠতে পারে। নেতৃবৃন্দ বলেন, আগামী ৭২ ঘণ্টার মধ্যে স্বাস্থ্যমন্ত্রণালয়কে এই হঠকারী সিদ্ধান্ত বাতিল করে দ্রæত চিকিৎসকদের সঙ্গে গোলটেবিল বৈঠকের আয়োজন করতে হবে। অন্যথায়, ১৪ ফেব্রæয়ারি থেকে দেশের মেডিকেল স্টুডেন্ট ও চিকিৎসকগণ কঠোর কর্মসূচি দিতে বাধ্য হবে। স্বাস্থ্যসেবা নিয়ে কোনো প্রকার অব্যবস্থাপনা বা গাফিলতি দেশ ও জনগণের জন্য ভয়াবহ পরিণতি বয়ে আনতে পারে। তাই অবিলম্বে কার্যকর উদ্যোগ গ্রহণের আহŸান জানানো হয়। বিজ্ঞপ্তি