স্টাফ রিপোর্টার :
ফেইথফোন কল সেন্টারে চুরির ঘটনা পূর্বপরিকল্পিত বলে উল্লেখ করেছেন প্রতিষ্ঠানটির চীফ অপারেটিং অফিসার শফিকুল ইসলাম রাজন। এতে প্রায় ১০ কোটি টাকার ক্ষতি সাধিত হয়েছে বলে তিনি জানান। তবে তিনি দাবি করেন এ ঘটনায় গ্রাহকদের ক্ষতি হওয়ার কোনো সম্ভাবনা নেই। সোমবার সিলেট প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব তথ্য জানান।
সংবাদ সম্মেলনে শফিকুল ইসলাম রাজন বলেন, ২০১২ সাল থেকে সরকারের অনুমতি ও নীতিমালা অনুসরণ করে ফেইথফোন কল সেন্টার সুনামের সাথে কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছে। বিভিন্ন মেয়াদে দুই থেকে আড়াইশ দক্ষ ও অদক্ষ জনবলকে চাকরি প্রদানের মাধ্যমে দেশের অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে আসছে। বর্তমানে এ প্রতিষ্ঠানে ৫১ জন কর্মী কর্মরত রয়েছেন। যারা তাদের দক্ষতা কাজে লাগিয়ে বিগত দিনে প্রায় ২০ কোটি টাকার রেমিট্যান্স আনতে সক্ষম হয়েছেন বলে তিনি জানান।
তিনি বলেন, গত ৩০ জুলাই সাপ্তাহিক ছুটির দিন হওয়ায় আমাদের অফিসের কার্যক্রম বন্ধ ছিল। আমাদের নাইওরপুলস্থ অফিস পরিচ্ছন্নতার জন্য দুপুরে পরিচর্যাকারী অফিসে আসলে মেইন ফটকের তালা ভাঙ্গা দেখতে পায়। সাথে সাথে আমাকে ফোনে ঘটনা জানানো হলে কালবিলম্ব না করে আমি অফিসে পৌছাই। অফিসে এসে আমি দেখতে পাই একটি অপারেশন রুম খোলা। সেখানে প্রবেশ করে দেখতে পাই আমাদের অত্যন্ত মূল্যবান পিসি এবং একটি স্মার্টফোন যেগুলোর মধ্যে আমাদের কোম্পানীর অনেক গোপনীয় তথ্যাদি, কাস্টমার ডাটাবেজ, লিগ্যাল পেপারস, ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা এবং বিভিন্ন সময়ে প্রস্তুতকৃত আমাদের অনেক গুরুত্বপূর্ণ ট্রেনিং ম্যাটেরিয়ালস ছিল।
ঘটনার পর থেকে আমাদের আইটি কর্মকর্তারা অক্লান্ত পরিশ্রমের মাধ্যমে হারিয়ে যাওয়া ডিভাইসে থাকা সেন্সেটিভ তথ্যাদি উদ্ধার করতে সক্ষম হয়েছেন এবং এসকল ডিভাইস থেকে যাতে আমাদের কাস্টমারদের যেকোন ধরনের ডাটা লিকেজ ওর ডিসক্লোজ না হয় তা নিশ্চিত করেছেন। যদিও আমরা ধারনা করছি ডিভাইসগুলোতে এখনো আমাদের কোম্পানীর ইন্টারনাল তথ্যাদি রয়ে গেছে যা কি না কোম্পানীকে হুমকির মুখে ফেলতে পারে।
তিনি বলেন, সিসিটিভির ফুটেজে আমরা দেখতে পাই ওইদিন ১টা ১৭ মিনিটের সময় চোর সিঁড়ি বেয়ে উঠে এবং ১টা ৩১ মিনিটে মালামাল নিয়ে পালিয়ে যায়। তার গতিবিধি এবং টার্গেট আমাদের কাছে প্রাথমিকভাবে পূর্ব পরিকল্পিত মনে হয়েছে এবং আমাদের প্রতিষ্ঠানের ক্ষতি সাধনের জন্য এই ঘৃন্য ঘটনা ঘটানো হয়েছে বলে আমরা ধারণা করছি।
এ ঘটনার প্রেক্ষিতে আমরা থানায় অভিযোগ প্রদানের পর পুলিশ প্রশাসন ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন এবং অপরাধীদের দ্রুত আইনের আওতায় নিয়ে আসার আশ্বাস প্রদান করেন। তিনি দাবি করেন বাংলাদেশে তাদের কোনো গ্রাহক নেই এবং কারও ক্ষতির সম্ভাবনাও নেই। আমরা আমাদের কাজের জন্য কারও ব্যক্তিগত ডাটা সংগ্রহ করছি না। সংবাদ সম্মেলনে তিনি তাদের প্রতিষ্ঠান নিয়ে অপপ্রচার না করার অনুরোধ জানান। এ সময় উপস্থিত ছিলেন প্রতিষ্ঠানের ম্যানেজার মো. জালাল উদ্দিন, সাইফুল আলম শাওন, ইমরান হোসাইন প্রমুখ।