ধর্মপাশা সংবাদদাতা
সুনামগঞ্জের ধর্মপাশায় অবৈধ পথে ভারত থেকে আনা ১৯টি গরু বোঝাই চারটি পিকআপ ভ্যানসহ ৫ চোরাকারবারিকে আটক করেছে পুলিশ। রবিবার ভোর সাড়ে ৪টার দিকে উপজেলার পাইকুরাটি ইউনিয়নের গাছতলা বাজারে অভিযান চালিয়ে ভারতীয় গরুসহ চোরাকারবারিদের আটক করা হয়।
আটককৃতরা হলেন- মধ্যনগর উপজেলার বলরামপুর গ্রামের রফিকুল ইসলাম, ফাহিম মিয়া, আলীহারপুর গ্রামের রাকিব হাসান, নেত্রকোণার বারহাট্টার আলোকদিয়া পূর্বপাড়া গ্রামের রাতুল মিয়া ও ছয়হাল গ্রামের মাসুদ খান।
একটি সূত্রে জানা গেছে, ভারতের মেঘালয় পাহাড় সীমান্তবর্তী মধ্যনগর উপজেলার কাঠঘর, কড়ইবাড়ী, মটিয়ারবন, মঈনপুরসহ বেশ কয়েকটি এলাকা দিয়ে বিজিবিসহ স্থানীয় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে ম্যানেজ করে দীর্ঘদিন ধরে স্থানীয় একটি চক্র প্রতি রাতে চোরাইপথে ছোট-বড় শত শত গরু নিয়ে আসেন। বিভিন্ন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর নিয়োগকৃত লাইনম্যানদের গরু প্রতি ২০০-৪০০ টাকা করে দিতে হয়। পরে তারা লাইনম্যানদের সহযোগিতায় গরু মধ্যনগর উপজেলার সীমান্তবর্তী বিভিন্ন গ্রামে লুকিয়ে রাখে। তাৎক্ষণিকভাবে এসব বৈধ করতে চোরাকারবারিরা স্থানীয় মহেশখলা গরুর হাট ও দাতিয়াপাড়া নতুন বাজার গরুর হাটে ইজারাদারদের মোটা অঙ্কের টাকার বিনিময়ে রসিদ নিয়ে আসে। সেখান থেকে প্রকাশ্যে মধ্যনগর সদর হয়ে ট্রাক ও পিকআপ ভ্যানে করে পাশের ধর্মপাশা গরুর হাট, হাওরাঞ্চলে সর্ববৃহৎ গরুর হাট হিসেবে পরিচিত বারহাট্টা উপজেলার চিরাম ইউনিয়নের নৈহাটি গরুর হাটসহ আশপাশের বিভিন্ন হাটে নিয়ে যায়।
ধর্মপাশা থানার ওসি মোহাম্মদ এনামুল হক এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানতে পারি পরে রবিবার ভোর সাড়ে ৪টার দিকে চোরাইপথে আনা ভারতীয় বেশ কিছু গরু চারটি পিকআপ ভ্যানবোঝাই করে গাছতলা বাজার হয়ে পাশের বারহাট্টা উপজেলার নৈহাটি গরুর হাটের দিকে যাবে। পুলিশ গাছতলা বাজারের মূল রাস্তায় অবস্থান নেয়। কিছুক্ষণের মধ্যেই গরুবোঝাই চারটি পিকআপ বাজারে এসে পৌঁছার সঙ্গে সঙ্গে পুলিশ গরুসহ এক চোরাকারবারি ও চার পিকআপচালককে আটক করে থানায় নিয়ে আসে। আটকদের বিরুদ্ধে ধর্মপাশা থানায় মামলা দায়ের করে আদালতে পাঠানো হয়েছে বলে জানান তিনি।