মহাকালের গর্ভে বিলীন হয়ে গেল একুশ শতকের দ্বিতীয় দশকের আরও একটি বছর। নতুন একটি বর্ষে পদার্পণ করল বিশ্ব। শান্তি, সমৃদ্ধি ও সম্ভাবনার অপার বারতা নিয়ে শুরু হলো নতুন বছর। স্বাগত খ্রিস্টীয় নববর্ষ ২০২০। পুরনো বছরটি পেছনে ফেলে সম্মুখপানে এগিয়ে যাওয়ার দুরন্ত আহ্বানে মানুষ স্বাগত জানায় ভবিষ্যতকে। বিদায়ী বছরের ব্যর্থতাকে সরিয়ে রেখে নতুন বছরে নতুনভাবে শুরু হলো পথচলা। সাফল্য-ব্যর্থতার হিসাব পেছনে রেখে সামনে এগিয়ে যাওয়ার দিন হলো শুরু। পুরনো বছরের সংশয়, সঙ্কট, উদ্বেগ কাটিয়ে উঠে নতুন ভাবনা, নতুন আশায় নতুন করে দিন যাপনের শুরু আজ থেকে। বিশ্ববাসী প্রবেশ করল একুশ শতকের দ্বিতীয় দশকের শেষের বছরে। স্বাধীনতার ৪৮ বছর পূর্ণ করে বাংলাদেশও পা ফেলল ৪৯ বর্ষে। নতুন বছর মানে নবযাত্রা। নতুন করে পুরনো সমস্যা মোকাবেলা করে সবাইকে নিয়ে এগিয়ে যাওয়ার পালা। খ্রিস্টীয় নতুন বছরের প্রথম প্রভাতে আমাদের অগণিত পাঠক, লেখক, এজেন্ট, বিজ্ঞাপনদাতা ও শুভানুধ্যায়ীদের প্রতি আন্তরিক শুভেচ্ছা এবং অভিনন্দন। নতুন বছর সবার জীবনে শুভ হয়ে দেখা দেবে, এটাই কাম্য।
বাঙালী জীবনে গ্রেগরিয়ান নববর্ষ পালনের রেওয়াজ ব্রিটিশ শাসনামল থেকে অনুসৃত হয়ে আসছে। সম্প্রতি তা বেড়েছে পরিসরে। ইংরেজী নববর্ষ হিসেবে বাঙালীর কাছে পরিচিত দিবসটি পালনের ধরন সারা পৃথিবীতে প্রায় একই রকম। তবে পশ্চিমা বিশ্বে এর আনন্দটা অনেক বেশি। পশ্চিমাদের সঙ্গে তাল মিলিয়ে বাঙালীও নতুন আনন্দে মেতে ওঠে তথ্যপ্রযুক্তির এই প্রাগ্রসর যুগে। বহু মানুষ এদিন শুভেচ্ছা বিনিময় করেন। শুভেচ্ছা কার্ড, এসএমএস, ফেসবুক, টুইটার, এ্যাপল এবং ই-মেইলে হাজার হাজার শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন বার্তা ছড়িয়ে পড়ে। পুরনো বছর যেমনই কাটুক, নতুন বছর যেন ভাল কাটেÑসেই কামনা থাকে সবার মধ্যে।
চলতি বছরেই শুরু হতে যাচ্ছে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবর্ষ। নানা আয়োজন-অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে বছরটি পালিত হবে দেশে ও বিশ্বব্যাপী, যাতে যোগ দিয়েছে জাতিসংঘের অঙ্গ সংস্থা ইউনেস্কো। সে হিসেবে বছরটির তাৎপর্য গভীর ও সুদূরপ্রসারী। এর পরের বছর অর্থাৎ ২০২১ সালে হবে বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী। সুতরাং পেছনে তাকানোর সুযোগ আর নেই। এবার কেবলই সামনে এগিয়ে যাওয়ার পালা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাত ধরে। জয় হোক বাঙালী জাতির, জয় হোক বাংলাদেশের।