ছনি চৌধুরী হবিগঞ্জ থেকে :
হবিগঞ্জের শায়েস্তাগঞ্জ উপজেলায় ছেলেধরা সন্দেহে ৩ জনকে গণপিটুনি দেয়া হয়েছে। গুরুতর আহত অবস্থায় তাদেরকে উদ্ধার করে হবিগঞ্জ সদর আধুনিক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। গতকাল রোববার রাত ১০ টার দিকে উপজেলার অলিপুর নামক স্থানে এ ঘটনা ঘটে।
গণপিটুনিতে আহতরা হল, মাধবপুর উপজেলার নোয়াপাড়া কাশিপুর গ্রামের তোরাব আলীর পুত্র মোখলেছ মিয়া (৩২), একই এলাকার রতনপুর গ্রামের আব্দুর রহিমের পুত্র গিয়াস উদ্দিন (৩২) ও বরিশাল জেলার উজিরপুর থানার হাতিপুর গ্রামের শাহেদ মোল্লার পুত্র সিরাজুল ইসলাম (৩০)।
শায়েস্তাগঞ্জ থানার (ওসি) আনিছুজ্জামান জানান, অলিপুর এলাকায় ওই তিন ব্যক্তি একটি সিএনজি যোগে ঘুরা ফেরা করছিল। এসময় তাদের ঘুরা ফেরা দেখে স্থানীয় জনগণের মধ্যে ‘ছেলে ধরা সন্দেহ’ সৃষ্টি হয়। আর এতে করে স্থানীয়রা তাদেরকে ধাওয়া করলে তারা সিএনজি নিয়ে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা চালায়। এ সময় স্থানীয় জনসাধারণ তাদেরকে আটকিয়ে গণপিটুনি দেয়। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছে ৩ জনকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে আসে। ওসি আরো জানান, সন্দেহ জনকভাবে তাদেরকে গণপিটুনি দেয়া হয়েছে। বর্তমানে তাদেরকে হবিগঞ্জ সদর আধুনিক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
এছাড়াও তাদের সম্পর্কে তথ্য সংগ্রহ করা হচ্ছে। গণপিটুনির শিকার ওই ৩ ব্যক্তিকে বাচাতে গিয়ে দুলাল আহমেদ নামে এক কনস্টেবল আহত হয়েছে। তাকেও হাসাপাতালে চিকিৎসা দেয়া হয়েছে।
হবিগঞ্জ সদর আধুনিক হাসপাতালের চিকিৎসক ডাঃ হায়দার আলী জানান, ৩ জনের মধ্যে এক ১ জনের অবস্থায় আশংকাজনক। তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য প্রয়োজনে সিলেটেও প্রেরণ করা হতে পারে।
এদিকে, ছেলে ধরা বা ‘কল্লা কাটা’ আতংক জেলার সর্বত্র বিরাজ করছে। তবে পুলিশ বলছে, এগুলা গুজব। সন্দেহ জনক ভাবে এলাকায় কাউকে ঘুরা ফেরা করতে দেখলে তাকে গণপিটুনি না দিয়ে পুলিশকে খবর দিতেও বলা হয়।