কাজির বাজার ডেস্ক
সিলেটের কানাইঘাট সীমান্ত দিয়ে ভারতে পালানোর সময় নিহত বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সাবেক কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক ও আওয়ামী লীগ নেতা ইসহাক আলী খান পান্নার মৃতদেহ উদ্ধারের কথা স্বীকার করেছে মেঘালয় রাজ্য সরকার।
বুধবার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন গৌহাটির বাংলাদেশ হাইকমিশনের সহকারী কমিশনার রুহুল আমিন। তিনি জানান, মেঘালয় রাজ্য সরকার একটি মৃতদেহ উদ্ধারের কথা জানিয়েছে; যার পকেটে একটি পাসপোর্ট পাওয়া গেছে। পাসপোর্টটি ইসহাক আলী খান পান্নার বলে জানান তিনি।
এছাড়া পান্নার নিকটাত্মীয় দুজন বুধবার মেঘালয় রাজ্যের উমকিয়াং থানায় গেলে সেখানে পেট্রল পুলিশের মাধ্যমে নিশ্চিত হয় মৃতদেহ উদ্ধারের কথা। এ সময় তার হাতে থাকা ঘড়ি ও পাসপোর্ট তাদের দেখানো হয়।
গত শুক্রবার রাতে কানাইঘাটের ডোনা সীমান্ত দিয়ে ভারতে পালানোর সময় ভারতীয় এলাকায় মারা যান ইসহাক আলী খান পান্না। পরে তার মৃতদেহ উদ্ধার করে ভারতীয় পুলিশ। এ নিয়ে মুখে কুলুপ এঁটেছিলেন মেঘালয় রাজ্যের বিএসএফ ও পুলিশ। এমনকি বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে পান্না ভারতে প্রবেশই করেনি বলে বিবৃতি দেন বিএসএফ কর্মকর্তারা।
১৯৯৪ সালে ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন ইসহাক আলী খান পান্না। ২০১২ সালের সম্মেলনের পর ইসহাক আলী খান পান্না আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় উপকমিটির সহ-সম্পাদক হন।
ইসহাক আলী পান্নার স্ত্রী আইরীন পারভীন বাঁধন ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে ২০১৬ সালের ২৪ এপ্রিল মাসে মারা যান। আইরিন সরকারের উপ-সচিব ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শামসুন্নাহার হলের ভিপি ছিলেন। এই দম্পতির ইফতেশাম আফতারি আরিয়ান নামক এক ছেলে রয়েছে।