বড়লেখা সংবাদদাতা
ভারী বর্ষণ আর পাহাড়ি ঢলে বড়লেখার ধলইছড়ায় (সরকারি খাল) ভাঙন দেখা দিয়েছে। এতে হুমকির মুখে পড়েছে ১৫টি আদিবাসী পরিবারের ঘরবাড়ি। ঘরবাড়ি রক্ষায় অনেকে ব্যক্তিগত গাইডওয়াল দিলেও পাহাড়ি ঢলে তা ভেঙে নিয়ে যাচ্ছে। ছড়াটি গজভাগ গ্রামের মণিপুরিপাড়ার মধ্য দিয়ে প্রবাহিত। সেখানকার ভুক্তভোগীরা ঘরবাড়ি রক্ষায় খালের ভ‚মি চিহ্নিত করে উদ্ধার, পরিকল্পিতভাবে খনন ও গাইডওয়াল নির্মাণের দাবি জানিয়েছেন।
জানা গেছে, উপজেলার দক্ষিণ ভাগ দক্ষিণ ইউনিয়নের গজভাগ গ্রামের মণিপুরিপাড়ায় অনাদিকাল থেকে ২৫ থেকে ৩০টি মণিপুরি পরিবার বসবাস করে আসছে। আদিবাসীপাড়ার মধ্য দিয়ে প্রবাহিত উজান থেকে নেমে আসা ধলইছড়া (সরকারি খাল) এখন সেখানকার ১৫ থেকে ১৬টি পরিবারের জন্য অভিশাপে পরিণত হয়েছে। কারণ ভারী বর্ষণ আর পাহাড়ি ঢলে খালের পাড়ের বাসিন্দাদের বাড়িঘর হুমকির মুখে পড়েছে। এরই মধ্যে ডুবে গেছে কয়েকটি ঘর। সম্প্রতি ওই খালের নিচু এলাকায় সরকারিভাবে ৬০০ মিটার স্থান খনন করা হয়েছে বলে জানা গেছে। ভুক্তভোগীদের অভিযোগ, অপরিকল্পিতভাবে এই খনন কাজ করায় খালের উজানে মারাত্মক ভাঙন দেখা দিচ্ছে। এতে খাল-সংলগ্ন কয়েকটি বাড়ি ও ব্যক্তিগত অর্থায়নে নির্মিত গাইডওয়াল হেলে পড়েছে।
স্থানীয় বাসিন্দা ভুক্তভোগী নীলমণি সিংহ, মোদন সিংহ ও পরিমোহন সিংহ জানান, পাথারিয়া পাহাড় থেকে ওই খালের উৎপত্তি। অনেক স্থানেই খালের ভ‚মি দখল ও ভরাট হয়ে গেছে। ফলে খালের পাড়ের বাড়িঘর ভেঙে পড়ার উপক্রম হয়েছে। খালের নিচের এলাকায় খননকাজ করায় আরও বেশি ভাঙন দেখা দিচ্ছে।
এদের মধ্যে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত নীলমণি সিংহ জানান, বাড়িঘর রক্ষায় তিনি কয়েক লাখ টাকা খরচ করে খালের পাড়ে গাডওয়াল দিয়েছিলেন। অপরিকল্পিতভাবে খালের আংশিক স্থানে খনন কাজ করায় গাডওয়াল ভেঙে পাকা বাড়ি হেলে পড়ার উপক্রম হয়েছে। ভুক্তভোগীদের অভিযোগ, উজানের এলাকা খনন না করে নিচু এলাকা খনন করায় তারা আরও বেশি বিপদে পড়েছেন। হুমকির মুখে রয়েছে এখানকার অধিকাংশ বাড়িঘর। মণিপুরিপাড়ার ১৫ থেকে ১৬টি পরিবারের বসতভিটা রক্ষায় দ্রæত এবং পরিকল্পিত উদ্যোগ নেওয়ার দাবি জানান তারা।
এ ব্যাপারে উপজেলা প্রকৌশলী প্রীতম সিকদার জয় জানান, এলজিইডির মাধ্যমে গাইডওয়াল নির্মাণের কোনো প্রকল্প নেওয়া যায় কিনা সরেজমিন পরিদর্শন করে তা দেখা হবে। সেটি সম্ভব হলে দ্রæত ব্যবস্থা নেবেন।