স্টাফ রিপোর্টার
শাহপরাণ থানার দিগন্ত রুস্তমপুর এলাকা থেকে সুপারি, টাকা ও মোবাইলফোন ছিনতাইকারী ২ জনকে আটক করেছে পুলিশ। শুক্রবার বিকেল ৩টার দিকে তাদের আটক করা হয়।
আটককৃতরা হলেন- সিলেটের কানাইঘাট উপজেলার গাজীপুর গ্রামের মৃত ফখরুল ইসলামের ছেলে মাহফুজ আহমদ রাকিব (১৯) ও একই উপজেলার হুমাঘর গ্রামের শরীফ আহমদের ছেলে আবু সাঈদ ফারহান (১৯)। এছাড়া পুলিশের অভিযানকালে দুই ছিনতাইকারী পালিয়ে যায়। এর মধ্যে একজন শাহপরাণ থানার দিগন্ত আবাসিক এলাকার মৃত নিজাম উদ্দিনের ছেলে শাহীন আহমদ (১৯) ও অজ্ঞাত আরেকজন।
সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের (এসএমপি) মিডিয়া অফিসার অতিরিক্ত উপ-কমিশনার মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম জানান, শুক্রবার দুপুর ১টার দিকে জৈন্তাপুর উপজেলার হরিপুর বাজার থেকে মো. জুবায়ের আহমদ জুয়েল (২৬) তার নিজস্ব ২৪ বস্তা দেশীয় পঁচা সুপারি একটি লেগুনা গাড়িতে করে নগরীর কাজিরবাজারের উদ্দেশ্যে পাঠান। লেগুনাচালক সুজনের সঙ্গে ছিলেন জুয়েলের ব্যবসায়ীক পার্টনার মাসুম আহমদ (২৫)। শাহপরাণ (রাহ.) থানার দাসপাড়া এলাকায় গাড়িটি পৌঁছালে দুটি মোটরসাইকেলযোগে ৪ জন লোক তাদের ধাওয়া করে গাড়ি থামাতে বলে। কিন্তু চালক গাড়ি না থামালে শাহপরাণ (রাহ.) থানার সুরমা গেইটস্থ বাইপাস মুখে আসামাত্র মোটরসাইকেলের ৪ যুবক লেগুনার গতিরোধ করে চালককে মারধর করে চাকু দেখিয়ে গাড়ি থেকে সুপারির বস্তাগুলো ছিনিয়ে নিতে চায়। এসময় ব্যবসায়ী মাসুম তাদেরকে বাধা দিলে তাকেও অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে একটি সিএনজিচালিত অটোরিকশা ও একটি টমটম গাড়িতে করে সুপারির বস্তাগুলো ছিনতাই করে নিয়ে চলে যায়। পরে চালক সুজনের মাধ্যমে বিষয়টি সুপারির মালিক মো. জুবায়ের আহমদ জুয়েল জানতে পেরে তাৎক্ষণিক শাহপরাণ থানা পুলিশকে অবগত করেন। সঙ্গে সঙ্গে পুলিশের একটি টিম অভিযান চালিয়ে শাহপরাণ থানার দিগন্ত রুস্তমপুর এলাকা থেকে ছিনতাইকারী রাকিব ও ফারহানকে আটক এবং ২১ বস্তা সুপারি উদ্ধার করে। তবে ছিনতাইকারী শাহীন ও তাদের এক সহযোগিকে আটক করা যায়নি।
পুলিশ আরও জানায়, ছিনতাইকারীরা মারধর করে ব্যবসায়ী মাসুমের কাছ থেকে ১১ হাজার টাকা ও মোবাইল ফোন নিয়ে গেছে। এ বিষয়ে সুপারির মালিক মো. জুবায়ের আহমদ জুয়েল শুক্রবার রাতে শাহপরাণ (রাহ.) থানায় মামলা (নং-২৯) দায়ের করেছেন।
মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম আরও জানান, আটক দুজনকে আদালতের নির্দেশে জেলহাজতে প্রেরণ করা হয়েছে। এছাড়া পলাতক দুই ছিনতাইকারীকে ধরতে অভিযান অব্যাহত রেখেছে পুলিশ।