ওসমানীনগরে বাড়ছে পানি

14

শিপন আহমদ, ওসমানীনগর

সিলেটের বিভিন্ন উপজেলায় আকস্মিক বন্যার পানি কমলেও পানি বাড়ছে ওসমানীনগর উপজেলায়। কুশিয়ারা নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়ে ইতিমধ্যে উপজেলার নিম্নাঞ্চলের হাওর বেষ্টিত এলাকায় ডুকছে পানি। ফলে হাওর এলাকার প্রায় শতাধিক বাড়িঘর পানিবন্ধি রয়েছে। পানিতে ডুবে গেছে রাস্তাঘাট সহ কয়েকটি মাছের ফিসারী। অব্যাহত পানি বৃদ্ধি আতংক সৃষ্টি করছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা। হাওর এলাকার পানি বৃদ্ধির কারণে দৈনন্দিন জীবনযাত্রা কঠিন হয়ে পড়েছে।
জানা গেছে, সম্প্রতি ঘূর্ণিঝর রেমালের কারণে অতিবৃষ্টি ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ী ঢলে সিলেটের বেশ কয়েকটি উপজেলায় আকস্মিক বন্যা দেখা দেয়। পানি বন্ধি হয়ে পড়েন কয়েক হাজার মানুষ। অনেক পরিবার আশ্রয়কেন্দ্রে আশ্রয় নিয়েছিলেন। ধীরে ধীরে পানি কমতে থাকে ফলে অনেক পরিবার ফিরেছেন নিজেদের বসত বাড়িতে। এদিকে, সিলেটে বন্যা পরিস্থিত উন্নতি হলেও পানি বাড়ছে জেলার ওসমানীনগর উপজেলায়। কুশিয়ারার পানি বৃদ্ধি পেয়ে ধীরে-ধীরে হাওর বাওরে ডুকছে পানি। উপজেলার উমরপুর ইউনিয়নের বানাইয়ার হাওরে পানি বাড়তে থাকায় ইউনিয়নের নিম্নাঞ্চলের কয়েকটি গ্রামের রাস্তাঘাট তলিয়ে গেছে। পানি বৃদ্ধির ফলে নতুন-নতুন এলাকা প্লাবিত হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। বিশেষ করে উপজেলার উমরপুর, উসমানপুর ও পশ্চিম পৈলনপুর ইউনিয়নের কিছু নিম্নাঞ্চলীয় এলাকা এই ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে। ফলে স্থানীয় জনগণের মাঝে আতঙ্ক এবং দুশ্চিন্তা ক্রমশ বাড়ছে।
বৃহস্পতিবার উমরপুর ইউনিয়নের মজলিশপুর, আব্দুল্লাহপুর, হামতনপুরসহ পানিবন্দি বেশ কয়েকটি গ্রাম পরিদর্শন করেছেন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান গোলাম কিবরিয়া। এসময় তিনি স্থানীয়দের খোঁজখবর নেন এবং অব্যাহত পানি বৃদ্ধি পেলে নিরাপদ আশ্রয় অথবা আশ্রয় কেন্দ্রে আশ্রয় নেয়ার পরামর্শ দিয়েছেন। এসময় তার সাথে ছিলেন, ইউপি সদস্য আব্দুল মুকিদ, আব্দুল ছালিক, বদরুল আলম লেবু, সহিদ আলী, যুবসমাজের নেতৃবৃন্দসহ অনেকেই।
আব্দুল্লাহপুর গ্রামের রফিকুল ইসলাম বলেন, আমাদের ফসলের জমি পানির নিচে। ঘরের চারপাশে পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। চলাচলের অসুবিধা হচ্ছে, বিশেষ করে শিশু ও বৃদ্ধদের জন্য। নৌকা ছাড়া ঘর থেকে বের হওয়া যাচ্ছে না।
উমরপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান গোলাম কিবরিয়া বলেন, আমরা পরিস্থিতি নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছি। যেকোনো জরুরি অবস্থায় দ্রæত পদক্ষেপ নেওয়া হবে। প্রশাসনের দ্রæত ও কার্যকরী পদক্ষেপ এবং সামাজিক উদ্যোগের মাধ্যমে দুর্যোগ মোকাবিলায় সকলের সহযোগিতা একান্ত প্রয়োজন।