শাহ্ মাশুক নাঈম, দোয়ারাবাজার
সুনামগঞ্জের দোয়ারাবাজার উপজেলার সুরমা ইউনিয়নের প্রধান হচ্ছে মহব্বতপুর বাজার। বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, চিকিৎসাসেবা কেন্দ্র-ইউনিয়ন পরিষদ এ বাজারে অবস্থিত। বাজারের ভিতর দিয়ে যে সড়কটি অতিক্রম করেছে সে সড়ক দিয়ে মাদ্রাসা, স্কুল, কলেজ শিক্ষার্থীদের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও সদরে যাতায়াতের একমাত্র সড়ক। বাজারের প্রধান সড়কটির অবস্থা বেহাল হওয়ায় যাত্রী, ব্যবসায়ী, শিক্ষার্থীসহ এলাকার মানুষকে চরম ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে।
সরেজমিন দেখা যায়, এক গলিতে ঐতিহ্যবাহী মহব্বতপুর বাজার। আর বাজারের সড়ক জুড়েই রয়েছে নতুন পুরাতন ছোট-বড় গর্ত। সে গর্তেই জমে রয়েছে হাঁটু পরিমান পানি। অনেক সময় ছোট-বড় যানবাহন ওই গর্তে পড়ে নিয়ন্ত্রণ হারায়। সড়কে মানুষ ও যানবাহনের স্বাভাবিক চলাচলে বিঘœ ঘটছে। পথচারীরা সড়কের পাশ ঘেঁষে ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের বারান্দা দিয়ে চলাচল করেন। সড়ক বেহাল হওয়ার কারণে দুই পাশের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে বেচাকেনা কমে যায়।
স্থানীয়রা আরও জানান, সবদিকে কেবল উন্নয়নের জোয়ারের কথা শুনতেছি, কিন্তু মহব্বতপুর বাজার সড়কে সেই জোয়ারের ঢেউ এসে পৌঁছায়নি। পানিনিষ্কাশনের জন্য ড্রেনেজ ব্যবস্থা না থাকায় বৃষ্টি হলেই এখানে হাঁটুপানি জমে থাকে। পানি না শুকানোর আগ পর্যন্ত সড়কটি ব্যবহারের অনুপযোগী থাকে।
স্থায়ীরা আর জানান, বিভিন্ন গ্রামের কৃষকেরা উৎপাদিত পণ্য বিক্রি করতে মহব্বতপুর বাজারে গিয়ে ভোগান্তিতে পড়েন। এতে কৃষকের পণ্য ক্রয়-বিক্রয়ে বাধাগ্রস্ত হয়। বাজারের পাশেই রয়েছে একাধিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। কর্দমাক্ত সড়ক অতিক্রম করতে গিয়ে অনেক সময় শিক্ষার্থীদের পোশাক নষ্ট হয়ে যায়। ভোগান্তির শিকার হতে হচ্ছে রোগী ও তাঁদের স্বজনদের।
মহব্বতপুর বাজার ব্যবসায়ী আলমগীর হুসেন কাজির বাজারকে বলেন, বাজার ক্রয়বিক্রয়ের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ স্থান। জীবনে যত বাজার দেখেছি কিন্তুু মহব্বতপুর বাজারের মত ময়লা ও দুর্গন্ধযুক্ত বাজার কোথাও দেখিনি। যদি বাজারে পানিনিষ্কাশনের জন্য নালা নির্মাণ করা হয় তাহলে বাজারের পরিবেশ আরও সুন্দর হবে।
মহব্বতপুর বাজার ব্যবসায়ী কমিটির সাধারণ সম্পাদক পারভেজ হোসেন কাজির বাজারকে জানান, স্থানীয় জনপ্রতিনিধি যারা আছেন তারা এই দুর্ভোগ দেখেও দেখেন না। দীর্ঘদিন ধরেই অল্প বৃষ্টিতেই বাজারে পানি জমে যায়। মানুষের দুর্ভোগের কথা বিবেচনা করে অতি দ্রæত পানি অপসারণের উদ্যোগ নেওয়া জরুরি।
দোয়ারাবাজার উপজেলা ইঞ্জিনিয়ার (এলজিইডির) অতিরিক্ত কর্মকর্তা জসিম উদ্দিন কাজির বাজারকে বলেন মহব্বতপুর বাজারের সড়কের কাজের টেন্ডার হয়ে গেছে। কয়েকদিনের ভেতরে কাজ শুরু হবে।