স্টাফ রিপোর্টার
সিলেটে সবচেয়ে বড় ভারতীয় চিনির চালান আটক করা হলেও ২৪ ঘণ্টারও পেরিয়ে গেলেও এখনো কোনো চোরাকারবারিকে আটক করতে পারেনি পুলিশ। তবে চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
শুক্রবার দুপুরে এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের (এসএমপি) মিডিয়া সেল জানায়- বৃহস্পতিবার ভোর সাড়ে ৫টার দিকে জালালাবাদ থানার শিবেরবাজার এলাকার উমাইরগাঁও-এর রাস্তায় ভাদেশ্বর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামনে থেকে ভারতীয় চোরাই চিনিভর্তি ১৪টি ট্রাক জব্দ করে জালালাবাদ থানা পুলিশ। এসময় একটি মোটরসাইল (সিলেট মেট্রো-ল-১২-২৭৪৯) ও একটি প্রাইভেট কার (সিলেট-গ-১১-০৮৯৫) ফেলে চোরাকারবারিরা পালিয়ে যায়। এ চালান সিলেট জেলার কোম্পানীগঞ্জ এলাকাস্থ ভারতীয় সীমান্ত দিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করে। পরে সেগুলো ১৪টি ট্রাকে ভরে সিলেটের উদ্দেশ্যে রওয়ানা দেয় চোরাকারবারিরা। জব্দকৃত ১৪টি ট্রাকে ২ হাজার ১১৪ বস্তা ভারতীয় চিনি ছিলো। প্রতি বস্তায় ছিলো ৫০ কেজি করে। এ হিসাবে ১ লাখ ৫ হাজার ৭০০ কেজি ভারতীয় চিনি ছিলো ১৪টি ট্রাকে। যার বাজারদর ১ কোটি ৬৭ লক্ষ ১২ হাজার টাকা। এ বিষয়ে পরবর্তীতে জালালাবাদ থানার এসআই মো. সালাহ্ উদ্দিন বাদী হয়ে মামলা (নং-৫/৮৪) দায়ের করেন। তবে এখন পর্যন্ত কোনো চোরাকারবারিকে আটক করতে পারেনি পুলিশ। তাদের শনাক্ত ও আটক করতে পুলিশের চেষ্টা অব্যাহত আছে জানিয়েছেন এসএমপি’র মিডিয়া অফিসার অতিরিক্ত উপ-কমিশনার মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম।
ব্যবসায়ীরা জানান, চোরাইপথে আসা ভারতীয় চিনির কারণে সরকার প্রতি কেজি চিনিতে রাজস্ব হারাচ্ছে ৩৮ টাকা। অথচ চোরাইপথে আসা চিনি অত্যন্ত নিম্নমানের এবং ভেজালে ভরপুর। সেটা দেশীয় চিনির চেয়ে কেজিতে ৩০-৪০ টাকা কম থাকলেও খুচরায় তেমন প্রভাব নেই। অর্থাৎ ভোক্তারা কোনো সুফল পাচ্ছেন না। তবে অত্যাধিক লাভের কারণে অনেকেই অবৈধ চিনির ব্যবসায় জড়িয়েছেন। অন্যদিকে, চিনি চোরাই পথে আনলেও তা বোঝার উপায় নেই। কারণ ভারত থেকে আনা চিনি দেশীয় প্রতিষ্ঠানের বস্তার নাম-লগো ব্যবহার করা হচ্ছে। তখন কোনটা চোরাই তা বুঝার উপায় থাকে না।