কাজিরবাজার ডেস্ক :
বছরজুড়েই সমস্যা দেখে যায় যুক্তরাষ্ট্রের উচ্চ মূল্যস্ফীতি ও ইউরোপের জ্বালানি সংকট নিয়ে। এতে তৈরি হয় মন্দার ঝুঁকি। তাছাড়া করোনা সম্পর্কিত কঠোর নীতি বাস্তবায়নের কারণে নিম্নগামী ছিল চীনের অর্থনীতিও। তবে এসব ক্ষেত্রে কিছুটা উন্নতি হওয়ায় খুশী বিনিয়োগকারীরা। আর্থিকবাজার নিয়ে আশা জাগছে বিশ্বজুড়ে।
অক্টোবরে যুক্তরাষ্ট্রের মূল্যস্ফীতি আট দশমিক দুই শতাংশ থেকে কমে সাত দশমিক সাত শতাংশে দাঁড়িয়েছে। এদিকে করোনার শূন্য নীতিবিষয়ক বিধিনিষেধ শিথিলের পাশাপাশি প্রোপার্টি ডেভেলপারদের ওপর থেকে চাপ কমাতেও ব্যবস্থা নিয়েছে চীন। এতে বৈশ্বিক শেয়ার অক্টোরের মাঝামাঝি সময়ের চেয়ে বেড়েছে ১৩ শতাংশ।
বিনিয়োগকারীরা নিজেদের মতো এগিয়ে যাচ্ছেন। করোনা সম্পর্কিত বিধিনিষেধের কারণে যুক্তরাষ্ট্রের সরবরাহ ব্যবস্থায় যে প্রভাব পড়েছিল তাও এখন কেটে গেছে। এতে দেশটির মূল্যস্ফীতি কিছুটা নিম্নমুখী।
এক বছর আগে কয়েক ডজন জাহাজ লস অ্যাঞ্জেলেসের বাইরে নোঙর করা হয়েছিল আনলোড হওয়ার অপেক্ষায়। তখন সেমিকন্ডাক্টর ও সেকেন্ড-হ্যান্ড গাড়ির সরবরাহও কম ছিল। কিন্তু এখন নোঙ্গরখানা খালি। দেশটিতে চিপ ও গাড়ির দাম কমছে। এই উন্নতিগুলো অব্যাহত থাকার সম্ভাবনা রয়েছে। তাছাড়া ২০২৩ সালের মার্চ থেকে মূল্যস্ফীতি আরও কমতে পারে।
তবে মূল্যস্ফীতি এখনও উচ্চ স্তরে রয়েছে, যার বিরুদ্ধে মোকাবিলা করা কঠিন হবে। তাছাড়া যুক্তরাষ্ট্রের শ্রমবাজার এখনো চাপে রয়েছে। সেখানে এখনো একজন বেকারের জন্য দুইটি শূন্য পদ রয়েছে। মার্কিন ফেডারেল রিজার্ভ মূল্যস্ফীতি দুই শতাংশে নামিয়ে আনার জন্য সুদের হার বাড়িয়ে যাচ্ছে।
ইউরোপের জ্বালানি সংকট একই রকম অলীক প্রতিকারের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। অঞ্চলটিতে প্রাকৃতিক গ্যাসের দাম কমেছে কারণ স্টোরেজের মাত্রা বেশি ও আবহাওয়া মৃদু অবস্থায় রয়েছে। তারপরও মনে করা হচ্ছে, ইউরোপের অর্থনীতি সঙ্কুচিত হচ্ছে। কিন্তু আগামী বছর রাশিয়ার গ্যাস ছাড়াই ভাণ্ডার পূর্ণ করতে হবে ইউরোপকে। শীতও আস্তে আস্তে বাড়বে। তাই বেড়ে যেতে পারে প্রাকৃতিক গ্যাসের দাম। অক্টোবরে যুক্তরাজ্যের মূল্যস্ফীতি বেড়ে দাঁড়ায় ১১ দশমিক এক শতাংশে।
২০২৩ সালে চীনের অর্থনীতি ভালো অবস্থানে চলে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। কারণ দেশটির সরকার এরই মধ্যে করোনার বিধিনিষেধ উঠেয়ে দিয়েছে। পাশাপাশি প্রোপার্টি কোম্পানিগুলোকে সহযোগিতা করতে ১৬টি পদক্ষেপ নিয়েছে। তবে এক্ষেত্রে সামনে এগিয়ে যাওয়াটা খুবই কঠিন হবে। কারণ সংক্রমণের হার আবারও বাড়তে শুরু করেছে।