স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলুন

3

দেশে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ আবারও দ্রুত বাড়ছে। সেই সঙ্গে বাড়ছে করোনায় মৃত্যুর সংখ্যাও। পরীক্ষা বিবেচনায় শনাক্তের হার দাঁড়িয়েছে ১৬.৫১ শতাংশ। সামনে পবিত্র ঈদুল আজহা। মার্কেট, শপিং মল, হাটবাজারে প্রচণ্ড ভিড়। জমে উঠছে কোরবানির পশুর হাটও। বেশির ভাগ মানুষই স্বাস্থ্যবিধি মানছে না, এমনকি মুখে মাস্ক পর্যন্ত পরছে না। এরই মধ্যে শুরু হয়েছে ঘরে ফেরার পালা। জানা যায়, শুধু বাসেই ৪০ লাখ যাত্রী পরিবহনের প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। ট্রেন, লঞ্চেও কাছাকাছি যাত্রী পরিবহন করা হবে। ছোট ছোট যানবাহনেও গাদাগাদি করে মানুষ পাড়ি জমাবে। ধারণা করা হচ্ছে, ঈদ উপলক্ষে এক কোটির বেশি মানুষ চলাচল করবে। এ সময়ে যদি স্বাস্থ্যবিধি না মানা হয়, তাহলে করোনা পরিস্থিতি আবারও ভয়াবহ রূপ নিতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা।
গত মার্চ মাসের পর থেকে দেশে করোনায় আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা খুবই কমে গিয়েছিল। পরীক্ষা বিবেচনায় আক্রান্তের হার ১ শতাংশের নিচে নেমে গিয়েছিল। অনেক হাসপাতালে করোনা ইউনিট বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। মানুষ অন্যান্য স্বাস্থ্যবিধি মানা তো দূরের কথা, মুখে মাস্ক পরাও ছেড়ে দিয়েছিল। এই অবস্থায় জুনের মাঝামাঝি সময় থেকে আবারও বাড়ছে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ। চার মাস পর দৈনিক মৃত্যুর সংখ্যা আবার দুই অঙ্কের ঘরে পৌঁছেছে। এই অবস্থায় গত ২৭ জুন মন্ত্রী পরিষদ বিভাগের এক প্রজ্ঞাপনে ছয়টি নির্দেশনা দেওয়া হয়। জনসমাগমের স্থানগুলোতে মাস্ক পরা ও সামাজিক দূরত্ব মেনে চলা বাধ্যতামূলক করা হয়। ‘নো মাস্ক নো সার্ভিস’ নীতি কঠোরভাবে প্রয়োগের নির্দেশনা প্রদান করা হয়। কিন্তু সেসব নির্দেশ প্রায় কোথাও মানা হচ্ছে না। মানুষ যাতে এসব নির্দেশ সঠিকভাবে মেনে চলে সে জন্য কোনো উদ্যোগ নিতেও দেখা যাচ্ছে না।
অনেক মানুষের মধ্যে ভুল ধারণা রয়েছে যে টিকা নিলে বোধ হয় করোনা হবে না কিংবা হলেও মৃত্যু হবে না। কিন্তু এ ধারণা সঠিক নয়। ২৭ জুন থেকে ৩ জুলাই পর্যন্ত করোনায় ২২ জনের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে টিকা নিয়েছিলেন ১৬ জন। টিকা নেননি ছয়জন। ১৩ জন টিকার দুটি ডোজ নিয়েছিলেন। আর তিনজন বুস্টার ডোজ নিয়েছিলেন। তাই টিকা নিলেও সাবধানতা অবলম্বন ও স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার কোনো বিকল্প নেই।